স্টাফ রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, বান্দরবান সীমান্তে বিজিপির গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহতের ঘটনা নিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল তার অবসান হয়েছে।

রোববার সকালে সচিবালয়ে সাক্ষি সুরক্ষা সংক্রান্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এক বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সীমান্তে মিয়ানমার যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে তা অচিরেই প্রত্যাহার করবে বলে আমি আশাবাদী।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সীমান্তে বিজিবিই যথেষ্ট। চাইলে আমরাও সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে পারি। তবে, দুদেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে আমরা তা করবো না।

গত ২৮ মে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল টিমকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে বিজিপি। সেই সময় নিখোঁজ হন নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমান। তাকে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলি নিহত হন। এর বিজিপি প্রচার করে, গুলিতে আরএসও (রোহিঙ্গা সলিডারেটি অর্গানাইজেশন) বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের এক সদস্য মারা গেছেন। পরে অবশ্য বিজিপির আরাকান রাজ্যের সিতুইয়ের পুলিশ কর্নেল তুনও গতকাল শুক্রবার দেশটির দ্য ইরাবতী পত্রিকার কাছে বিজিবি সদস্য নিহত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ পি থান ওকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়। সীমান্ত থেকে বিজিবি সদস্যকে ধরে নিয়ে যাওয়ায় কঠোর ভাষায় তাকে তিরস্কার করা হয়। একই সঙ্গে সীমান্তরক্ষীদের কাছে আটক বিজিবির নায়েক মিজানুর রহমানকে অতি দ্রুত ছেড়ে দেয়ারও দাবি জানানো হয়।

এরপর শুক্রবার নিখোঁজ বিজিবি সদস্য মিজানুর রহমানকে ফিরিয়ে দিতে বিজিবি ও বিজিপির মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় সে বৈঠক। এরপরই নাইক্ষ্যংছড়ির দোছাড়ি সীমান্তে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে মিজানের লাশ ফেরত দেয় বিজিপি।

(ওএস/এটিআর/জুন ০১, ২০১৪)