আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গালি শুনতে ভালো না লাগলেও দিতে কিন্তু অনেকেই মজা পান। অনেকেই রেগে গেলে প্রতিপক্ষ বা অন্যকে গালাগালি করেন। কারো মুখ এতটাই খারাপ যে অবলীলায় তারা অশ্রাব্য গালিগালাজ করতে পারেন। তবে গালি দেয়া খারাপ বলে যে প্রচারণা রয়েছে তা হয়তো এবার ভাঙতে চলেছে।
 

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, মাঝে মাঝে গালি দেয়া নাকি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। তাতে যেমন রাগ প্রশমিত হয় তেমনি পাওয়া যায় মানসিক শান্তিও।

গবেষকরা দেখেছেন, মাঝে মাঝে গালি দিয়ে রাগ ঝাড়া আমাদের মানসিক চরিত্রকে দৃঢ় করে। সাধারণত মানুষ রেগে গেলে তার রক্তচাপ বেড়ে যায়। ফলে ঘটতে পারে হার্ট অ্যাটাক, পক্ষাঘাতের মতো বিপদও। তাই গালি দিয়ে রাগ ঝাড়া মানুষের খারাপ আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করে।

গবেষণাটি মূলত করেছেন যুক্তরাজ্যের স্ট্যাফোর্ডসায়ারের কিলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র লেকচারার ড. রিচার্ড স্টিফেন ও তার দল। গবেষক দল দেখেছেন, মানুষে মানুষে ঝগড়া ছাড়াও অধিকাংশ সময় অনেকে কম্পিউটার গেমস খেলার সময় গালিগালাজ করেন। গেমে জিততে ব্যর্থ হলে বা টার্গেট করা শত্রুকে মারা না গেলে মানুষ ক্ষোভে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দেয়।

এ বিষয়ে ড. রিচার্ড স্টিফেনন বলেন, ‘ভিডিও গেমগুলো মানুষকে আক্রমণাত্মক করে তুলছে। তাই তাদের ভাষা হয়ে উঠছে আবেগপ্রবণ, দোহাই দেয়া ও কখনো কখনো অশ্রাব্য।এই গালিগালাজ, দোহাই দেয়া ব্যর্থতাকে গ্রহণযোগ্য করতে সাহায্য করে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা রেগে গেলে সাধারণত চেনা জানা গালিগুলো দেই। যা আমরা ছোটবেলা থেকেই চারপাশে শুনে এসেছি। আর রেগে গেলে সেসব ব্যবহার করেই মনে শান্তি ও শক্তি পাই।’

মাঝে মাঝে তাই অনেক দায়িত্বশীল ব্যক্তি যেমন সরকার প্রধানদেরও গালিগালাজ ও কটু ভাষা ব্যবহার করতে দেখা যায়। যা তাদের রাগ নিয়ন্ত্রণে সোহায্য করে।
(ওএস/এএস/জুন ০১, ২০১৪)