নাটোর প্রতিনিধি : চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী কামরুজ্জামান মীম নামে এক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী বাড়তি সময়ের সুবিধা পাচ্ছে না। বোর্ডের অনুমতিপত্র না থাকায় এ সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছে সে।

কামরুজ্জামান মীম বাগাতিপাড়া উপজেলার মাধববাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল কেন্দ্রে ১৪ নম্বর কক্ষে কামরুজ্জামান রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবারের এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। সে উপজেলার কলাবাড়িয়া গ্রামের সাজদার রহমানের ছেলে।

কামরুজ্জামান জানায়, জন্ম থেকেই সে চোখে দেখেনা। মাত্র চার ইঞ্চি দূর থেকে সামান্য আবছা ছায়ার মতো দেখতে পায়। এরচেয়ে বেশি দূর হলে সে কিছুই দেখতে পায়না। দূর থেকে ব্ল্যাক বোর্ডে কিছু দেখতে না পাওয়ায় ক্লাশের শিক্ষকরা তাকে আলাদাভাবে পড়ান। এভাবেই পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৩ সালে একই কেন্দ্রে জেএসসি পরীক্ষা দিয়ে জিপিএ ৪ দশমিক ৯৪ পেয়ে উত্তীর্ন হয় সে। জেএসসি পরীক্ষার সময়ও সে বাড়তি কোন সুবিধা পায়নি। এবার সে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় বাড়তি সুবিধা চায় সে। কামরুজ্জামানের বাবা সাজদার রহমান বলেন, তিনি একজন সাধারণ কৃষক। তিনি বোর্ডের নিয়ম কানুন বোঝেননা। তাই শিক্ষাবোর্ডের অনুমতিও আনতে পারেননি।

কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব মোঃ রোমেল জানান, মাধ্যমিক স্কুল সাটিফিকেট পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত নীতিমালার ৪ এর ‘ট’ ধারা মোতাবেক দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বা হাত না থাকা কোন পরীক্ষার্থী শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারবে। এরকম পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বর্ধিত করার বিধান আছে। তবে এসব সুবিধার জন্য শিক্ষাবোর্ডের অনুমতির প্রয়োজন হবে। কামরুজ্জামান একজন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও শুধুমাত্র বোর্ডের অনুমতি না থাকায় তাকে এসব সুবিধা দেওয়া যাচ্ছে না।

(এমআর/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৬)