নিউজ ডেস্ক : ছোট্ট এই দেশটায় ১৬ কোটি মানুষের বাস। কিন্তু এই ১৬ কোটি মানুষে যোগ্য নাগরিক কতজন আছেন হিসেব করে বলতে পারবেন? আমরা অনেকেই দেশের এবং পরিবেশের জরুরি কিছু নিয়ম মেনে চলি না, যার ফলে বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় এবং পরিবেশ নষ্ট হয়।

প্রতিদিনের জীবনে অহরহ এ ধরনের সমস্যাগুলির মাঝে আমাদের পড়তে হয়। কিন্তু ভেবে দেখুন তো একটু যদি নিজেকে পরিবর্তন করে নেয়া যায়, একটু যদি যোগ্য হয়ে ওঠা যায় নিজের দেশের,তাহলেই কম হতে পারে হাজারো সমস্যা।
১. ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলুন :

প্রতিদিনই ট্রাফিক নিয়ম না মেনে আমরা গাড়ি চালিয়ে থাকি। একদিকে নিয়ম ভাঙলে পুরো এলাকাটিতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ফলে সময়ের অপচয় হয় অনেক। রাজধানী ঢাকা শহরে প্রায়ই এ ধরনের ট্রাফিক আইন অমান্য করে আগে যাওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো করে গাড়ি চালায় অনেক ড্রাইভারই। এর ফলে ভুগতে হয় সাধারণ যাত্রীদের। এই অনিয়মের ফলে সড়ক দুর্ঘটনারও শিকার হয়েছেন অনেকেই। আমরা সচেতন নাগরিক হয়ে যদি এই ছোট ছোট নিয়মগুলো সেনে চলি তাহলে এই ধরনের বিশৃঙ্খলা একেবারেই তৈরি হয় না।
২. যেখানে সেখানে প্রস্রাব করবেন না :

রাস্তাঘাটে বের হলেই দেখা যায় প্রতিদিন অহরহ মানুষ যেখানে সেখানে প্রস্রাব করে থাকেন। বিশেষ করে ফুটপাতগুলোতে প্রস্রাব গন্ধে হাঁটা যায় না। আমরা সবাই সচেতন নাগরিক হিসেবে রাস্তাঘাটে যদি এই বাজে কাজটি না করি তাহলে পরিবেশটিকে সুন্দর ও স্বাস্থ্যসম্মত রাখতে পারি। এর জন্য প্রয়োজনে ভ্রাম্যমান টয়লেট ব্যবহার করুন।
৩. যেখানে সেখানে ময়লা ফেলবেন না :

ময়লা বিভিন্ন আবর্জনা রাস্তাঘাটের পরিবেশ নষ্ট করে ফেলে। রাস্তাঘাটে ময়লা ফেলতে সবারই মনে হয় খুব ভালো লাগে বা কষ্ট করে অনেকেই ময়লাগুলো নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে একেবারেই আগ্রহবোধ করেন না। নগরবাসীদের জন্য ময়লা ফেলার জন্য আলাদাভাবে স্থান তৈরি করা হয়েছে। আপনার অপ্রয়োজনীয় ময়লাটি রাস্তায় না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলুন। আপনি যদি গাড়িতেও থাকেন সচেতন নাগরিক হিসেবে কষ্ট করে গাড়ি থামা পর্যন্ত ময়লাটি সংরক্ষণ করুন এবং নির্দিষ্ট স্থান এলে সেখানে গিয়ে ফেলে আসুন।
৪. ইভটিজিং করবেন না :

রাস্তাঘাটে মেয়েদের দেখে বিভিন্ন ধরনের কমেন্ট করা অসুস্থতার লক্ষণ। যদিও এর বিরুদ্ধে আইন হয়েছে। তারপরও এই বিধি মানেন কতজন বলুন? এরপরও রাস্তাঘাটে মেয়েরা অহরহ ইভটিজিংয়ের শিকার হচ্ছেন। বিভিন্ন অশ্লীল কমেন্ট এবং অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করা হচ্ছে সবসময়। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে ভাবুন আজ যেই রাস্তাটি দিয়ে অপরিচিত একজন নারী যাচ্ছেন কিছুদিন পর এই রাস্তাটি দিয়ে আপনার মেয়ে যেতে পারেন। তার নিরাপত্তার জন্য অন্তত এ ধরনের অপকর্ম থেকে বিরত থাকুন।
৫. অপরাধ প্রবণতা থেকে বিরত থাকুন :

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ প্রবণতা ঘটে চলেছে নিত্যদিন। গুম, হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ ইত্যাদি। এসব কারণে প্রতিদিন অনেক যান ও মালের ক্ষতি হচ্ছে। আপনি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে এসব থেকে দূরে থাকবেন এবং প্রয়োজনে অন্যকে সচেতন করুন। এতে করে আপনার আশেপাশের পরিবেশ অন্তত স্থিতিশীল হবে পরবর্তীতে সারা দেশে এই ধরনের অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে। এক্ষেত্রে আপনি নিজে সচেতন হোন এবং অন্যকে সচেতন করুন।

(ওএস/এটিআর/জুন ০১, ২০১৪)