চাঁদপুর প্রতিনিধি : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘যারা দেশে মাদ্রাসার নাম ভাঙিয়ে ভোট নিয়েছিল, তারা একটা মাদ্রাসাও নির্মাণ করেনি। কিন্তু মাদ্রাসায় আমরা আধুনিক শিক্ষা চালু করেছি।

আধুনিক শিক্ষা নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা একদিন অফিসার হবে।’ চাঁদপুরের কচুয়া ড. মনসুরউদ্দীন মহিলা কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে শনিবার দুপুরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, মাদ্রাসা ও স্কুলের শিক্ষকদের বেতন সমান করে দিয়েছি। ৩৫টি মডেল মাদ্রাসা করেছি। আমরা মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু করে দিয়েছি। যা মাদ্রাসার কোনো আলেম স্বপ্নেও ভাবেননি। আধুনিক শিক্ষা আমরা চালু করে দিয়েছি। মাদ্রাসা থেকে পড়ে কোরআন-হাদিস পড়ে যেমনি আলেম হবে, তেমনি ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি পড়ে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। তিনিও একদিন অফিসার হবেন।

নাহিদ বলেন, শিক্ষককেও মনে রাখতে হবে যে তাদের জনগণের শ্রদ্ধা ও আস্থা অর্জন করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করতে হবে। এ শিক্ষার্থীরাই আপনাকে সম্মানিত করবে।

তিনি আশা ব্যক্ত করে বলেন, শিক্ষকদের চেষ্টায় মেয়েরা এগিয়ে যাবে। মেয়ে ও ছেলেদের শিক্ষায় সমতা নিয়ে আসার জন্য জাতিসংঘের লক্ষ্য ছিল ২০১৫ সাল। এ সময়ের মধ্যে প্রাথমিক স্তরে ছেলে ও মেয়েদের সমতা অর্জন করতে হবে। বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ের তিন বছর আগে শুধু প্রাথমিকে নয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে এ সমতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের প্রাথমিকে এখন ৫১ জন মেয়ে, মাধ্যমিকে ৫৩ জন মেয়ে। তাতে দেখা যাচ্ছে মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একসময় বলা হয়েছিল শেখ হাসিনাকে নৌকায় ভোট দিলে দেশে কোনো মাদ্রাসা থাকবে না। যারা এ কথা বলে ভোট নিয়েছিল তারা একটা মাদ্রাসা বিল্ডিং করেছে দেখাতে পারবে না। আমি সাত বছর ঘুরে বেড়িয়েছি প্রমাণ পাওয়ার জন্য, কিন্তু পাইনি। শেখ হাসিনার সরকার ইতোমধ্যে এক হাজার ৩৩১টি মাদ্রাসা বিল্ডিং তৈরি করেছে।

কলেজের প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, পুলিশ সুপার শামছুন্নাহার প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজ অধ্যক্ষ তাপস কুমার দত্ত।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৬)