স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন পিছিয়ে আগামী ০৩ মার্চ পুনর্নির্ধারণ করেছেন আদালত।

মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ায় গত ০৫ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (সিএমএম) মামলাটি করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। সেদিন অভিযোগ তদন্ত করে ০৭ ফেব্রুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে শাহবাগ থানাকে আদেশ দিয়েছিলেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল হকের আদালত।

রবিবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) কোনো তদন্ত প্রতিবেদন না আসায় দিন পিছিয়ে আগামী ০৩ মার্চ পুনর্নির্ধারণ করেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. নূরু মিয়ার আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি তো (বঙ্গবন্ধু) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আজকে বলা হয়, এতো শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে’।

‘খালেদা জিয়ার ওই বক্তব্য পরদিন বিভিন্ন জাতীয় পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। যেহেতু ওই বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ করে, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যা দণ্ডবিধি ৫০০ ধারার অপরাধ’।

একই অভিযোগে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর ও ২৭ ডিসেম্বর দেশের বিভিন্ন আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়।


(ওএস/এস/ফেব্রুয়ারি০৭,২০১৬)