নিউজ ডেস্ক : মা-বাবার মতন আমিও ফেসবুকিং করব! এই কথা যদি পাশের বাড়ির ক্লাসের সেভেনে পড়া ববির মুখে শোনেন তাহলে হয়তো আড়ালে মুচকি হাসবেন।

ভাববেন এটা তার নেহাতই ছেলেমানুষি আবদার। কিন্তু পরের দিন ফেসবুক খুলেই হোম পেজে দেখলেন নতুন ফ্রেন্ড রিকোসেস্ট। ক্লিক করতেই জ্বলজ্বল করে উঠল পাশের বাড়ির ববির মুখ।

তাহলে কি বাবি সত্যি বলছিল। কিন্তু কী ভাবে মিথ্যা তথ্য ছাড় ফেসবুকের সদস্য হল সে?
তাহলে জানিয়ে রাখি, এবার তেরো বছরের কম বয়সীরাও ফেসবুক করার অধিকারী। ফেসবুকের তরফ থেকে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে তেরো অনূর্ধ্ব ক্ষুদেদের জন্যে। তারাও নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে বলে জানান হয়েছে।

তবে একটি শর্তে! অভিভাবকদের সম্পূর্ণ তদারকিতে খুলতে হবে সোশ্যাল নেটওর্য়াকিং সাইটের অ্যাকাউন্ট। নাহলে নয়। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবাগ। তাঁর কড়া নির্দেশ, মা-বাবার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে অনুমতি আসলে তবেই খোলা যাবে ক্ষুদের প্রোফাইল। তারাই ঠিক করে দেবে অ্যাকাউন্ট সেটিংস, ফ্রেন্ড-লিস্টের সংখ্যা এমনকি অ্যাপ্লিকেশনও।

যদিও এই সম্মতি পেতে হলে চিল্ড্রেন্স অনলাইন প্রাইভেট প্রোটেকশন অ্যাক্ট (সিওপিপিএ), ১৯৯৮ আইনের অধীনস্থ নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে। এই আইন ২০১৩ সালে প্রবর্তিত করা হয়েছিল। শিশুদের জ্ঞান বিকাশের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে অভিভাবকদের অনুমোদন সাপেক্ষে এই আইন প্রত্যাবর্তন করা হয়।

ছোটরা, এবার তোমরাও খেলতে পারবে ক্যান্ডি-ক্রাশ।

(ওএস/এটিআর/জুন ০১, ২০১৪)