মেহেরপুর প্রতিনিধি : সবজি উৎপাদন খ্যাত জেলা মেহেরপুরের সদর উপজেলার যাদবপুর, রাজাপুর, উত্তর শালিকাসহ বিভিন্ন গ্রামের মাঠে উৎপাদিত হচ্ছে হাইব্রিড লাউয়ের বীজ। লাভবানও হচ্ছেন এখানকার লাউচাষিরা।

যাদবপুর গ্রামের কৃষক মো. সামছুদ্দিন ওরফে লাভলু। এ বছর ঢেলাপীরের মাঠে দেড় বিঘা জমিতে হাইব্রিড লাউ চাষ করেছিলেন। ইতিমধ্যে এক বিঘা জমি থেকে লাউয়ের বীজ সংগ্রহ করে বিক্রি করেছেন। বাকি ১০ কাঠা জমিতে লাউ আছে।

তিনি জানান, লাউবীজ উৎপাদন করতে চাষিকে ছয় মাস সময় ব্যয় করতে হয়। তিনি ভাদ্র মাসে আগাম এক বিঘা জমিতে হাইব্রিড লাউ চাষ করেন। ফাল্গুন মাসে ওই জমির বীজ সংগ্রহ শেষ হয়। এতে তার সব মিলিয়ে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। তিনি ওই জমির উৎপাদিত বীজ বিক্রি করেছেন ৮৫ হাজার টাকায়।

তিনি আরো জানান, লাউ চাষের সময় অগ্রহায়ণ মাস। বীজ উঠবে জ্যৈষ্ঠ মাসে। নির্ধারিত সময়ে লাউ চাষ করলে খরচ কিছুটা কম হবে। বর্তমানে তার ১০ কাঠা জমিতে হাইব্রিড লাউ চাষ করতে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তার ওই ১০ কাঠা জমি থেকে উৎপাদিত বীজ ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করেন।

বীজ তৈরির জন্য যাদবপুর গ্রামের মনিরুল দেড় বিঘা, চয়েনউদ্দিন এক বিঘা, বিল্লাল ১০ কাঠা জমিতে হাইব্রিড লাউ চাষ করেছেন। উত্তর শালিকা গ্রামের রেজাউল হক একজন বড় চাষি। তিনিও এ বছর অনেক জমিতে হাইব্রিড লাউ চাষ করেছেন।

এ ছাড়া, বীজ তৈরির জন্য নিজ এলাকার মাঠের জমিতে হাইব্রিড লাউ চাষ করেছেন রাজাপুর গ্রামের আক্কাচ আলীসহ অনেকে।

হাইব্রিড লাউবীজের পাশাপাশি পর্যাপ্ত লাউ শাক পেতে এসব মাঠেও আরো এক প্রকার লাউ বীজ তৈরি হচ্ছে। হাইব্রিড লাউয়ের বীজ প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি শাক উৎপাদনের জন্য তৈরি লাউবীজ বিক্রি হয় ১২০ টাকা কেজি।

যাদবপুর গ্রামের রেজাউল, আবু হানিফ, আনারুল, সাদেকুলসহ অনেকে বীজ উৎপাদনের জন্য লাউ চাষ করেছেন। লাভবানও হচ্ছেন বলে একাধিক চাষি জানান।

বিএডিসি, লাল তীর, মেটাল, ব্র্যাকসহ বিভিন্ন কোম্পানি মেহেরপুরের চাষিদের উৎপাদিত বীজ কিনে থাকে।

(ওএস/এস/জুন ০১, ২০১৪)