বাকৃবি প্রতিনিধি :তেলাপিয়া মাছ নিয়ে সস্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় কিছু নেতিবাচক তথ্য প্রকাশিত হওয়ায় বিভ্রান্ত না হওয়ার আহব্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) গবেষকেরা। রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ‘বিএফআরই’র উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এইচ এম কোহিনুর।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) গবেষকেরা বলেন, উপযুক্ত পরিবেশে চাষকৃত তেলাপিয়া মাছ খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলে তা মানবদেহের উপর কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না। তবে কোন খামারী যদি ট্যানারি বর্জ্য, পোল্ট্রি লিটার ইত্যাদি ক্ষতিকারক খাদ্যসামগ্রী ব্যবহার করে মাছ চাষ করে সেসব খামার থেকে উৎপাদিত তেলাপিয়া মাছের শরীর কিছু ক্ষতিকারক উপাদান জমা হতে পারে। খাদ্য হিসেবে সেসব মাছ গ্রহণ করার ফলে মানুষের শরীরের ওপর বিরুপ প্রভাব দেখা দিতে পারে।

সস্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তেলাপিয়া মাছ সম্বন্ধে কিছু নেতিবাচক তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত গবেষণা করে ‘বিএফআরই’।

এতে জানানো হয়, ময়মনসিংহ অঞ্চলের বেশ কিছু খামার থেকে তেলাপিয়া মাছ সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে প্রতিষ্ঠানের গবেষকেরা। এতে মানবদেহের জন্য মারাতœক ক্ষতিকর কোন উপাদান পাওয়া যায় নি। এছাড়াও দীর্ঘ দিন ধরে তেলাপিয়া মাছ চাষের ওপর বিভিন্ন গবেষণা করে আসছে ‘বিএফআরআই’র গবেষকেরা। গবেষণায় দেখা গেছে, খামারে মাছের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ, পানির গুণাগুণ উপাযোগী মাত্রায় থাকলে এবং মাছের পুষ্টিসমৃদ্ধ ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা করা গেলে খামার থেকে উৎপাদিত তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন মাছে ক্ষতিকর কোন উপাদান থাকে না। ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত পদ্ধতিতে তেলাপিয়া মাছ চাষ করলে উৎপাদিত মাছ মানুষ নিশ্চিন্তে খাবার হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে। মাছ চাষের ক্ষেত্রে এড়ড়ফ অঁয়ধপঁষঃঁৎব চৎধপঃরপবং (এঅচ) পদ্ধতি অনুসরণ করলে মাছে ক্ষতিকর উপাদান থাকার সম্ভাবনা বহুলাংশেই দূর হয়ে যায়।

তাই, সুস্বাদু, পুষ্টিসমৃদ্ধ ও সহজলভ্য তেলাপিয়া মাছ সম্বন্ধে ভীত না হয়ে এ মাছকে খাদ্য হিসেবে নিশ্চিন্তে গ্রহণ করতে ভোক্তাদের আশ্বস্ত করেছেন গবেষকেরা।


(এসএস/এস/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬)