নওগাঁ প্রতনিধি : নওগাঁর মান্দা উপজেলার ফেরীঘাট থেকে নিয়ামতপুর পর্যন্ত ১৮ কিঃমিঃ রাস্তার এখন বেহালদশা। যান চলাচল তো দূরের কথা, পথচারীদেরও চলাচল কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে মান্দার ফেরীঘাট থেকে থানা হয়ে কালিকাপুর পর্যন্ত্য রাস্তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।

গোটা রাস্তায় পিচ-খোয়া উঠে গিয়ে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেসব গর্তে যানবাহনের চাকা পড়ে দূর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়তই। অসমতল, এবড়ো-থেবড়ো নিয়ামতপুরের ওই একমাত্র রাস্তাটির এমন বেহালদশা জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। নিয়ামতপুর উপজেলা ও মান্দার কয়েকটি ইউনিয়নের অন্তত লক্ষাধিক মানুষের থানা ও জেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, বিষয়টি এলাকার মন্ত্রী-এমপিদের নজর না থাকায় জনদুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে রাস্তাটি সংস্কারের টেন্ডার এবং ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় লোকজন জানায়, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মাস খানেক আগে কাজও শুরু করে। কিন্তু মাঝে মাঝে দু/চারটি ইট দিয়ে রাস্তার পাশে সামান্য খোয়া দিয়ে তাদের আর কাজে আসতে দেখা যাচ্ছেনা। তাদের মতে, টেন্ডার ভাগাভাগির কারনে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার তার খেয়াল খুশিমত কাজ করছে। ফলে জনগনের ভোগান্তির দিকে তাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। ওই রাস্তা সম্পর্কে কিছু জানতে গেলেই কাজ শুরু করা হয়েছে বলে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মান্দার ফেরীঘাট ব্রিজের মোড় থেকে থানা হয়ে কালিকাপুর মোড় পর্যন্ত রাস্তাটির দুর্বিসহ অবস্থা। এইটুকুর মধ্যে রয়েছে, মান্দা মোমিন সাহানা ডিগ্রী কলেজ, পাইলট হাই স্কুল, ডাকবাংলো, থানা ভবন এবং ব্যাংক। এসব গুরুত্বপূর্ন প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগের এটিই একমাত্র রাস্তা। অথচ জরুরী ভিত্তিতে রাস্তাটি সংস্কারের কোন তদারকি নেই কারো। রাস্তাটির দু’পাশে মাঝে-মধ্যে দু/চারটি ইট পুঁতে সামান্য খোয়া ঢেলে রাখা হয়েছে। তবে সে কাজটিও প্রায় মাস খানেক আগে করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়। এরপর ওই রাস্তায় লেবার-মিস্ত্রি বা ঠিকাদারের লোকজনকে চোখে পড়েনি। মান্দা কলেজ ও স্কুলের সামনে, থানার সামনে, নিয়ামতপুর কলেজের সামনের ভাঙ্গাচোড়া রাস্তা পথচারীদের পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি করেছে।

এব্যাপারে নিয়ামতপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ এনামুল হক ঘটনান সত্যতা স্বীকার করে জানান, জরুরী ভিত্তিতে রাস্তাটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে।

(বিএম/এস/ফেব্রুয়ারি১৯,২০১৬)