নিউজ ডেস্ক : ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নির্বাচন শনিবার ২০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ওইদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে ভোটগ্রহণ।

নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংবাদিক সমাজের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা। অন্যদিকে, পছন্দের প্রার্থী বাছাই নিয়ে ভোটারদের মধ্যেও সরগরম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমান স্বাক্ষরিত আচরণবিধিতে জানানো হয়, নির্বাচনে ভোট গ্রহণের ৩০ মিনিট আগে (সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে) প্রত্যেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীকে একজন করে এজেন্টের নাম লিখিতভাবে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কাছে জমা দিতে হবে। নির্বাচন এবং ভোটের ফলাফল ঘোষণা শেষ না হওয়া পর্যন্ত এজেন্ট পরিবর্তন করা যাবে না।

নির্বাচন চলাকালে ভুয়া ভোটার চিহ্নিত করার দায়িত্ব এজেন্টদের। কোনো ভোটার সম্পর্কে এজেন্টরা আপত্তি জানালে নির্বাচন কমিটি ভোটারের পরিচিতি চিহ্নিত করবে। ভুয়া ভোটার ধরা পড়লে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আচরণবিধিতে আরো বলা হয়, কোনো ভোটার ভোট দেয়ার সময় পোলিং বুথে মোবাইল ও ক্যামেরাসহ কোনো ধরণের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও ব্যাগ সঙ্গে রাখতে পারবেন না।

নির্বাচনের দিন প্রার্থীদের পরিচিতি তুলে ধরে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে দুটি বিলবোর্ড স্থাপন করা হবে। এর বাইরে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্ত্বরে প্রার্থীদের কোনো ধরনের ব্যানার, পোস্টার, বিলবোর্ড, স্টিকার ইত্যাদি লাগানো বা স্থাপন সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ।

নির্বাচনী প্রচারে কারো বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো বা এ সংক্রান্ত কোনো লিফলেট প্রকাশ বা প্রচার করা যাবে না। ডিইউজের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে এমন কুৎসা রটানোর অভিযোগ প্রমাণিত হলে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি তার প্রার্থিতা/ভোট বাতিল করার অধিকার সংরক্ষণ করে।

ভোটারকে নিজের ভোটার নাম্বার জেনে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে নির্বাচন পরিচালনার স্বার্থে ভোটারদের ভোটার নম্বর সরবরাহ করার দায়িত্ব প্রার্থীদের।

এর আগে প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী-

সভাপতি : আবু জাফর সূর্য, আবুল কালাম, কুদ্দুস আফ্রাদ, ড. উৎপল কুমার সরকার এবং শাবান মাহমুদ।

সহ-সভাপতি : অহিদুজ্জামান মিঞা, আতিকুর রহমান চৌধুরী, মো. মফিজুল ইসলাম এবং মোস্তাক হোসেন।

সাধারণ সম্পাদক : আবদুল মজিদ, এম এ কুদ্দুস, খন্দকার মোজাম্মেল হক, মেহেদী হাসান, রহমান মুস্তাফিজ, সাজ্জাদ আলম খান তপু এবং সোহেল হায়দার চৌধুরী।

যুগ্ম-সম্পাদক : খায়রুল আলম, গাজী জহিরুল ইসলাম, রফিক আহমেদ, রওশন ঝুনু ও শাহানা শিউলী।

কোষাধ্যক্ষ : আশারাফুল ইসলাম, পলি খান, ফজলে রেজওয়ান করিম, বরুন ভৌমিক নয়ন ও সেবিকা রাণী।

সাংগঠনিক সম্পাদক : জোবায়ের আহমেদ নবীন, মামুন আবেদীন, শাহজাহান মিঞা, মুস্তফা মনওয়ার সুজন ও সিদ্ধার্থ শঙ্কর ধর।

প্রচার সম্পাদক : আকতার হোসেন, আবু সাঈদ, আশীষ কুমার সেন, এম শাহজাহান ও নাজমুল হাসান।

ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক : অনজন রহমান, খালেদ আহমেদ, মো. মফিজুর রহমান খান বাবু ও হামিদ মোহম্মাদ জসিম।

জনকল্যাণ সম্পাদক : এ জিহাদুল রহমান জিহাদ, উম্মুল ওয়ারা সুইটি, শাহ আলম ডাকুয়া ও শেখ নূর ইসলাম।

দফতর সম্পাদক : আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাহাঙ্গীর খান বাবু, জি এম মাসুদ ঢালী, মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল এবং রহমান মুফিজ (মুফিজুর রহমান মুফিজ)।

এছাড়াও নির্বাহী পরিষদ সদস্য প্রার্থীরা হলেন : আলী মনসুর, ইকবাল হাসান কাজল, ইমরান আহমেদ, এ এম শাজাহান মিয়া, এ এস এম সাইফ আলী, এম এ হায়দার খান, কায়সার হাসান, খায়রুন্নেসা নিপা, জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী, জি এম জোয়ারদার, দেবব্রত দত্ত, দেবাশীষ রায়, দুলাল খান, নাজু মির্জা, নাসির উদ্দিন বুলবুল, প্রণব কুমার মজুমদার, ফিরোজ কবির শাওন, মঞ্জুশ্রী বিশ্বাস, মর্তুজা হায়দার লিটন, মাহাবুব রেজা, জাকিউল ইসলাম বাবু, মো. তাওহীদ, মো. নাসির খান, মোহাম্মাদ মনিরুল আলম, মোস্তফা কামাল (সুমন মোস্তফা), মুঈদ খন্দকার, রারজানা সুলতানা, রেজাউল করিম রেজা, রফিকুল ইসলাম রিপন, শামীমা আক্তার (শামীমা দোলা), শেখ আরিফ বুলবন, সলিম উল্লাহ সেলিম, সাগর বিশ্বাস, সাহিন কাওসার ও সোহেলী চৌধুরী।

উল্লেখ্য, নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ছিলো ৭ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে ৮ ফেব্রুয়ারি। প্রার্থী সম্পর্কে আপত্তি (যদি থাকে) প্রদান ৯ ফেব্রুয়ারি। আপত্তি শুনানি (যদি প্রয়োজন হয়) ১০ ফেব্রুয়ারি। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ১১ ফেব্রুয়ারি। বৈধ প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয় ১৩ ফেব্রুয়ারি।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৬)