মাদারীপুর প্রতিনিধি :মাদারীপুরের কালকিনিতে শহীদ মিনারে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও পৌর মেয়র সমর্থিকদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে একুশের প্রথম প্রহরে। এ সময় কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর ও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০ জন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ মাঠে শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পণ করতে উপস্থিত হয় উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, কালকিনি ও ডাসার থানা, কালকিনি প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠনের লোকজন।

এসময় মোটরসাইকেল বহর নিয়ে সেখানে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে আসেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক। তার পুষ্পমাল্যের ডালায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের পাশাপাশি সাধারণ সম্পাদক কালকিনি উপজেলা আওয়ামীলীগ লেখা থাকায় ফুলের ডালা ভেঙ্গে ফেলে আওয়ামীলীগের কালকিনি পৌরসভার মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদারের গ্রুপের লোকজন।

মেয়র সমর্থকদের পক্ষের দাবী মীর গোলাম ফারুককে আওয়ামীলীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। তবুও সে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ ব্যবহার করছে। আর সাবেক চেয়ারম্যানের পক্ষের লোকজনের দাবী তার পদ বহাল আছে।

এ নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মী প্রিন্স, খায়রুল, আজিজুল, তারেক, সোহেল, বেল্লাল, অভিসহ কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে। আহতরা কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমি শহীদ মিনারে ফুল দিতে গেলে মেয়র এনায়েত হোসেন বাধা দেয়। এ সময় এনায়েত হোসেনর লোকজন আমার নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে। এছাড়াও তারা ককটের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করে।’

এ ব্যাপারে কালকিনি পৌরসভার মেয়র এনায়েত হোসেন হাওলাদারকে মোবাইল ফোনে কল করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুককে সাময়িক ওখানে থেকে পুলিশি প্রহরায় নিয়ে আসা হয়। উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে।’





(ডিসি/এস/ফেব্রুয়ারি২১,২০১৬)