হাকিকুল ইসলাম খোকন:গত ২১ ফেব্রুয়ারি রবিবার নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটে যথাযথ মর্যাদায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে।

কর্মসূচীর অংশ হিসেবে, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ কনস্যুলেট এ আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা অর্ধনমিত করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। সকল শহীদদের সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

কনস্যুলেট মিলনায়তনে ২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ সন্ধ্যায় একটি আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কনসাল জেনারেল মোঃ শামীম আহসান, এনডিসি তার বক্তৃতায় বলেন যে দিবসটি সারা বিশ্বে ভাষার বৈচিত্র্য উদ্যাপনের একটি প্রেক্ষাপট তৈরী করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর অবদান তুলে ধরার সাথে সাথে ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তাঁর বাংলায় বক্তব্য প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করেন। ভাষা আন্দোলনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি আরো বলেন যে এই আন্দোলনের ধারাবাহিক অর্জনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা।

অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, এসআইএল ইন্টারন্যাশনাল (ঝওখ ওহঃবৎহধঃরড়হধষ) এর প্রধান নির্বাহী এবং ভাষা বিশেষজ্ঞ ড. ফ্রেডরিক এ. বসওয়েল (উৎ. ঋৎবফৎরপশ অ. ইড়ংবিষষ), বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও মুক্তিযোদ্ধা ড. নুরুন নবী অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে বিশ্বসম্প্রদায়ের মধ্যে ভাষাগত বন্ধনের একটি অনন্য সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে বক্তারা অভিমত ব্যক্ত করেন।

বর্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কনস্যুলেট পরিবার, কমিউনিটি এবং বিদেশী শিল্পীরা (এস্তোনিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কাজাখাস্তান, নেপাল, নাইজেরিয়া, রাশিয়ান ফেডারেশন এবং সিয়েরা লিওন) অংশ গ্রহণ করেন। মার্কিন কর্মকর্তাবৃন্দ, বিভিন্ন দেশের

কূটনীতিক,আওয়ামীগ,জাসদ,জাপাসহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বাংলাদেশ কম্যুনিটির সদস্যবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পরিশেষে, ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবারে অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়।




(ওএস/এস/ফেব্রুয়ারি২৩,২০১৬)