নওগাঁ প্রতিনিধি : সোমবার বিকেলে নওগাঁর পত্মীতলায় বিরোধপূর্ণ পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে ককটেলসহ পাঁচ যুবককে আটক করে স্থানীয় লোকজন থানায় সোপর্দ করে। উপজেলার কাঞ্চনদিঘী এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

মঙ্গলবার সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। আটককৃত যুবকরা হলো, পত্মীতলা উপজেলার নান্দাশ গ্রামের সুমন হোসেন (১৮), নাদোর গ্রামের মেহেদী হাসান (১৯), বহবরপুর গ্রামের উৎপল কুমার হালদার (১৯), হরিরামপুর গ্রামের মাহবুব আলম (১৮) ও ধামইরহাট উপজেলার ধুরইল গ্রামের সাজিদ হাসান (১৯)। এরা সবাই নজিপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, উপজেলার কাঞ্চন গ্রামের কাঞ্চনদিঘী নামে একটি পুকুরের মালিকানা নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এলাকার সাবেক এমপি বিএনপি নেতা শামসুজ্জোহা খান, স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিক দেওয়ান, ইলাহী বক্স ও চয়েন উদ্দীন ওই পুকুরটিকে পৈতৃক সূত্রে তাঁদের মালিকানা দাবি করেন। অন্যদিকে গ্রামবাসীদের দাবি, পুকুরটি কাঞ্চনদিঘী মাজারের (পীরত্তোর সম্পত্তি) জমি। কয়েক মাস আগে খাস জমি হিসেবে ওই উপজেলা পরিষদ থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ গত ১৬ জানুয়ারি পুকুরটি লিজ নেন। সোমবার দুপুরে মাজার কমিটির লোকজন পুকুরে মাছ ধরতে গেলে ১০-১২ জন যুবক তাঁদেরকে বাধা দেয়। এ সময় গ্রামের লোকজন উল্লেখিত পাঁচ যুবককে আটক করেন। তাঁদের কাছে একটি ব্যাগে ৫টি ককটেল পাওয়া যায়। অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

এ ব্যাপারে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘জমিটি মাসখানেক আগে উপজেলা পরিষদ থেকে তিন বছরের জন্য লিজ নিয়েছি। এখনও পুকুরে কোনো মাছ ছাড়িনি। সোমবার মাজার কমিটির লোকজন খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন হিসেবে পুকুরে মাছ ধরতে যান। এ সময় কয়েকজন যুবক তাঁদেরকে বাধা দেয়। অভিযোগের বিষয়ে সাবেক এমপি বিএনপি নেতা শামসুজ্জোহা খান ফোনে বলেন, ‘এ বিষয় সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আমি বর্তমানে ঢাকায়। যারা আটক হয়েছে তাদের কাউকেই আমি চিনি না।’

পত্মীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ আজিম উদ্দীন বলেন, ‘গ্রামের লোকজন ককটেল সদৃশ্য বস্তুসহ ওই পাঁচ যুবককে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ্দ করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।

(বিএম/এএস/ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৬)