মেহেরপুর প্রতিনিধি  :তিন মাসের বাসা ভাড়া দিতে না পারায় মেহেরপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড পাড়ায় নারগিস খাতুন (২৭) নামে এক ভাড়াটিয়া গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নিহতের স্বামীর অভিযোগ, তাঁকে পিটিয়ে ও শ্বাস রোধ করে হত্যার পর ঘরের সিলিং ফ্যানে ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালায় বাড়িওয়ালা। এ ঘটনার পর থেকে বাড়ির মালিক রিজিয়া খাতুনসহ সবাই পলাতক রয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নারগিস খাতুন শহরের মল্লিকপাড়ার জান্টু হোসেনের স্ত্রী। তার সাত বছর বয়সের একটি ছেলে ও পাঁচ বছর বয়সের একটি মেয়ে রয়েছে।

এদিকে, অভিযুক্ত বাড়িওয়ালা রিজিয়া খাতুনকে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে দুপুরে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে বিক্ষোভ ও অবরোধ করেছে নিহতের স্বামী, সন্তানসহ এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, বাড়ির মালিকের কাছে জান্টু হোসেনের তিন মাসের বাড়ি ভাড়া বাকি থাকায় মালিক রিজিয়া খাতুন তার মেয়ে ও জামাইকে সঙ্গে নিয়ে দুই দিন আগে জান্টুর স্ত্রী নারগিসকে বেদম মারধর করেন। মঙ্গলবার সকালে তাকে মেরে গলায় ওড়না জড়িয়ে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালায়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে নারগিসকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় তিনি।

নিহতের স্বামী জান্টু বলেন, "বাসা ভাড়ার জন্য বাড়ির মালিকের স্ত্রী রিজিয়া খাতুন তার স্ত্রীকে মেরে ফেলেছে। আমি তাদের বিচার চাই।" মেহেরপুর সদর থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, "লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন করে দেখা গেছে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহৃ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যার পর ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত শেষে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।"

(এমএইচ/এস/ফেব্রুয়ারি২৪,২০১৬)