নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর সাপাহার উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম রি-রেজিষ্ট্রেশনে গ্রাহক হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। অনেক স্থানে সিম নিবন্ধনের জন্য আদায় করা হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা করে। বিশেষ করে উপজেলা সদরের জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন কয়েকটি দোকানে চরমভাবে গ্রাহক হয়রানী করা হচ্ছে। সিমের এ সব ডিলাররা সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে।

এ ব্যাপারে গ্রাহকরা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বুধবার সাপাহারের জিরো পয়েন্টসহ বিভিন্ন দোকানে “এখানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে গ্রামীন ফোনের সিম রেজিষ্ট্রেশন করা হয়” এমন সাইনবোর্ড দেখে গ্রাহকরা যান তাদের সিম নিবন্ধন করতে। সেখানে গেলে দোকানের পক্ষ থেকে বলা হয় ফরম ফুরিয়ে গেছে। এর আগেও বিভিন্ন দোকান থেকে বলা হয়েছিল ফরম নেই।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন লাবনী সুপার মার্কেটে অবস্থিত “সাইফুল ইলেকট্রনিক” নামক দোকানে, সোনার বাংলা মার্কেটে অবস্থিত “আলমগীর টেলিকম” নামের দোকানে, “সাগর টেলিকম”, “জুয়েল ইলেকট্রনিক” নামের দোকানে, লাবনী সুপার মার্কেটে অবস্থিত গ্রামীন কাষ্টমার কেয়ার “জামান টেলিকম” নামের দোকানটির বিরুদ্ধে সিম প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে বলে অনেক গ্রাহক অভিযোগ করেন। অধিকাংশ দোকানে “এখানে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে গ্রামীন ফোনের সিম রেজিষ্ট্রেশন করা হয়” এমন সাইনবোর্ড ঝুলছে দেখে গ্রাহকরা সেখানে সিম রি-রেজিষ্ট্রেশন করতে যায়। কিন্তু তারা সিম রেজিষ্ট্রেশন না করে পরে আসতে বলে। এছাড়াও উপজেলার দিঘীরহাট বাজার, হাপানিয়া ঘাট, খঞ্জনপুর বাজার, আশড়ন্দ বাজার, মধইল বাজার, কলমুডাঙ্গা বাজার, তিলনা বাজের বিভিন্ন দোকানেও গ্রাহক হয়রানীর অভিযোগ রয়েছে।

(বিএম/এস/ফেব্রুয়ারি২৪,২০১৬)