এক গর্ভবতী জোছনা রাতে

কোনো এক গর্ভবতী জোছনা রাতে তুমি বলেছিলে
আমাকে ছুঁয়ে দেখো দাড়ি,কমা না রেখে
দেখবে একটা যুৎসই কবিতা হামাগুঁড়ি দিয়ে
উঠে আসছে বিলের স্বচ্ছ পাতায়

মাতাল কবি রূপাঞ্জলির চোখে চোখ রেখে বলেছিলো---
আমি কবিতা চাই না নষ্ট প্রেমের
তারারা খসে গেলে আমি মালা করে দেবো তোমায়
একখানি ঝলমলে টিপ এনে দেবো চাঁদের কপাল চুরি করে
আমি দশ আঙুল সামলে রেখেছি
ফুলেশ্বরী শয়নের জন্য

তুমি অবহেলায় সেসব উড়িয়ে দিয়ে মুক্ত ছড়ালে
বেগতিক হাওয়ার শরীরে....

তারপর থেকে তোমার আমার দেখা হয়নি এই বয়স ওজনে
যতোদূর জেনেছি তুমি এখন নষ্ট কবির নষ্ট কবিতা
কেমন আছো প্রিয় রূপাঞ্জলি এখন বুঝি সবিতা?

আত্মঘাতী প্রেমবাজ

আমাকে তুমি আর ডেকো না--
পাতাবাহারের মতো করে সন্ধ্যার নির্জন শিস্ তুলে
সারি সারি সুপারির ডানা ভাঙা খোলসে
কিংবা পানলতার ঢেউ গুনে শব্দহীন পা
লোকালয় থেকে বেশ দূরে পরাগ রেণুর ভালোবাসার টানে;

আমাকে তুমি আর ডেকো না--
সন্ধ্যা নামলে যখন জোয়ার আসে অদৃশ্য কণায়
আমার শব্দ গন্ধ তোমার চাপা অনুভূতি
একফোঁটা জলও যদি হয় কঁচুপাতায়
সাক্ষী রেখে আকাশ--তোমাতেই থেকো

অনন্তের যেদিকেই তাকাবে তোমার ছায়াটানে
আমার কলঙ্কচিহ্ন ছিটিয়ে আছে মৌসুমীবীজ...
আমি আত্মঘাতী প্রেমবাজ এবং তোমার নিপূণ পারদর্শিতা!!!

আমাকে তুমি আর ডেকো না...।

শকুন্তলা

শকুন্তলা একটি প্রিয় নাম
আমাদের দেখা হয়েছিল বহুদিন পর
একমাঠ শীতলঘাসের পরে মুখোমুখি স্মৃতি পাঠ খুলে
তার খোপার গন্ধ খুলে দিলো নরম উল্টো বাতাস
কতোদিনের চেনা বোধ যেনো নেমে এলো অন্তরাগ!!!

এইভাবে আমাদের কেটেছে অনেকগুলো দিন
নিষাদনীল আকাশের ছায়াতলে:

আজ বদলে গেছে সেসব পাখিদের সুর
বসন্তব্যাকুল শাখা প্রশাখতেও ভাটা
কী জানতে চাও শকুন্তলা?

কেনো এতো ঘটা করে সাক্ষাত আকূল
এই সেই ঝরাপাতা ছাতিম ছায়ায়?

দেখো কিছুই নেই আগের মতো করে আয়না সম্মুখে
আমাদের ভালোবাসা পঁচে গেছে খোলস আড়ালে
ডালে কিংবা অডালে;নিক্ষুত সুক্ষটানে
ভালোবাসা জমে থাকে জীর্ণ দুটি পাজড়ে....