মোঃ কামরুজ্জামান হিমু : হযরত শাহ্ রুমির নাম আমি শুনেছি কিন্তু তার ওরসে কখনও যাওয়া হয়নি। এবার আমার বন্ধু সচিবালয় কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন এর থেকে যখন দাওয়াত পেলাম আর দেরি করলাম না। আমরা একটি হাইজ গাড়ী নিয়ে ঝালকাঠির উদ্দেশে রওনা দিলাম কয়েকজন সংবাদ কর্মীসহ।

আল হাসেনা হযরত শাহ রুমি বাবার ওরস শেষ হলো সম্প্রতি। ঝালকাঠি জেলা চল্লিশ কাউনিয়া রাজাপুর উপজেলা প্রতি বছরের মতো এবারে তার ৫৩তম ওরস ৩ দিনব্যাপি পালিত হলো। ঐ এলাকায় চল্লিশ কাউনিয়ায় জন্মগ্রহন করেছিলেন এই সূফি সাধক। তিনি বেঁচে থাকাকালীন থেকে এখানে প্রতি বছরের মতো বিরাট ওরস আয়োজন করা হয়ে থাকে।

ফাল্গুন মাসে পূর্ণিমায় ইংরেজী ২২, ২৩, ২৪ তারিখে এই তিন দিন ওরস হয়েছে। ভক্ত মুসল্লিরা বিভিন্ন জায়গা থেকে এবারে ওরসে হাজির হয়েছেন। তাদের থাকা খাওয়া দরবার কর্তৃপক্ষ বিনা পয়সায় করে থাকেন। রাজাপুর থানার এসআই আব্দুল কাইয়ুম বলেন আমি পর পর তিনবার এই ওরস পেয়েছি এখানে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার লোক সমাগম হয়।

এই ওরসে কোন অঘটন যাতে না হয় সেইজন্য আমরা সব সময় আপনাদের পাশে আছি। ওরসে খুলনা, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বড়গুনা, পাথরঘাটা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় চার হাজারের মতো লোক হয়। জামজমকপূর্ণ অনষ্ঠান শেষে পরদিন আমরা বিদায় নিলাম কিন্তু সূফি সাধকের কথা কোনদিন ভুলবোনা।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬)