প্রবীর সিকদার :
আমার বিরুদ্ধে ফরিদপুরে দায়ের করা ৫৭ ধারার মামলাটি ঝুলছে গত আগস্ট থেকে। আমি আমার জীবন শঙ্কার কথা বলেছিলাম। তাতে নাকি একজন মন্ত্রীর মানহানি হয়েছে! ওই মন্ত্রীর হয়ে একজন সরকারি উকিল আমার বিরুদ্ধে ওই মামলাটি করেছিলেন।

তারপর গ্রেফতার নির্যাতন, হাতকড়া পরিয়ে থানা আদালত রিমান্ড এবং কারাগার .....।

সারাদেশ উত্তাল হলে বিষয়টি জানতে পারেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তারপর খুবই দ্রুততার সাথে মেলে আমার জামিন। কিন্তু ৫৭ ধারার ওই মামলাটি রয়েই যায়।

থানা পুলিশ কিংবা বাদী পক্ষের কোনও প্রকাশ্য তৎপরতা না থাকলেও মামলায় তারিখের পর তারিখ পড়ে; আমার পক্ষে আদালতে হাজিরা দেন আমার আইনজীবী।

ভাবতে কষ্ট হয়, আমি আমার জীবন শঙ্কার প্রকাশ করায় মানহানি হয় একজন মন্ত্রীর! কিন্তু ওই মন্ত্রীই যখন প্রকাশ্য সমাবেশে দেশবরেণ্য আইনজীবী রানা দাশগুপ্তের চোখ উপড়ে ফেলার ঘোষণা দেন, তখন আর সেটা অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না! মন্ত্রী তো আর আইনের কাছে জবাবদিহি করতে পারেন না! আইন তো তারাই পয়দা করেন!

কি আর করা ! অগত্যা আমিই দাবি করছি, মন্ত্রীর মানহানি করায় সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের ফাঁসি চাই; আইনে যাই থাকুক ফাঁসিই তার যোগ্য সাজা!


>> চারপাশে আজ এরা কারা ?



(ওএস/অ/ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৬)