শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি : চিকিৎসার অভাবে প্রায় দুই মাস যাবত খোলা আকাশের নিচে শিকল বন্দী জীবনযাপন করছেন বগুড়ার শেরপুরের মামুরশাহী গ্রামের যুবক শাহিন আলম (২৫)। মানসিক ভারসাম্যহীনতার অজুহাতে তার মা ও কয়েকভাই মিলে তাকে বাড়ির পার্শ্বে গোয়াল ঘরের সামনে একটি গাছের সাথে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছে।

মঙ্গলবার দুপুরে শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের মামুরশাহী পশ্চিমপাড়ায় গিয়ে দেখা গেছে এই চিত্র। তার মা এছাতুন বেগম জানান, অর্থের কারণে তার চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তাই বাড়ির জিনিসপত্র ও এলাকাবাসীর উপর অত্যাচার ঠেকাতে দুই মাস পুর্বে থেকে তাকে শিকল দিয়ে এইভাবেই বন্দী করে রাখা হয়েছে।

রাতে তাকে মশারী লাগিয়ে দেয়া হয় বলে তিনি জানান। এছাড়া মাঝে মাঝে খাবারও দেয়া হয়। প্রতিবেশী মো: ইউসুফ আলী জানান, তার বাবা আজমত আলী মারা গেছেন প্রায় বিশ বছর যাবত। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে শাহিন সবার ছোট। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় পড়াশোনা না করে ছোট বেলা থেকেই বাসা বাড়ি ও হোটেলে কাজ করতো সে। প্রায় মাস ছয়েক আগে একবার তার মানসিক বিকৃতি ঘটে। তখনও তাকে কবিরাজি চিকিৎসার পাশাপাশি শিকর দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছিল। এরপর স্বাভাবিক হয়ে আবারও কাজ করতো। প্রায় দুই মাস যাবত আবারও মানসিক সমস্যা দেখা যাওয়ায় তার মার অনুরোধে এলাকাবাসী তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখেছে গাছের সাথে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম সরোয়ার জাহান জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এনএএম/এএস/০১ মার্চ, ২০১৬)