সিলেট প্রতিনিধি : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহা বলেছেন, দেশে মিডিয়া যথেষ্ট স্বাধীনতা পাচ্ছে। সংবিধান বিচার বিভাগ নিয়ে মন্তব্যের ক্ষেত্রে অবারিত স্বাধীনতা কাউকে দেয়নি। সবাইকে আইনি বিধানের মধ্যে থেকেই বিচার বিভাগ নিয়ে মন্তব্য করতে হবে।

তিনি বলেন, দেশে মিডিয়া যথেষ্ট স্বাধীনতা পাচ্ছে। কিছু কিছু ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াতে বিচার বিভাগ নিয়ে আলোচনা হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে এখানে আইনের বাধা-নিষেধের ব্যাপার রয়েছে। বেশি স্বাধীনতা কিন্তু জনগণের মঙ্গল নিয়ে আসে না।

এ সময় তিনি বিচার বিভাগ নিয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।

বুধবার দুপুরে সিলেট আদালতের ডিজিটালাইজেশন প্রজেক্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি আরো বলেন, যখন বিচারকদের দ্রুত রায় লেখা ও অবসরের পর রায় না লেখার কথা বলি তখন বিভিন্ন টকশোতে প্রধান বিচারপতিকে কীভাবে হেয় করা যায়, এটা তারা চিন্তা করেন।

ত্রিশ লাখ মামলা জটের কথা উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিবিধ মামলাগুলো নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে গেলাম। যদি পুরনো আইনগুলোকে যুগপোযুগি করা যেত তবে এটা ওভারকাম করতে পারতাম।

সরকারি সম্পত্তি রক্ষাসহ সরকারের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় দেখভালের জন্য স্থায়ী প্রসিকিউশন ব্যবস্থা চালুর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, সরকারি আইনজীবী নিয়োগে কিছু রাজনৈতিক বিষয় লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু একটা স্থায়ী প্রসিকিউশন ব্যবস্থা চালু না করলে, সরকারি আইনজীবীদের শিক্ষিত ও প্রশিক্ষিত না করা হলে অদূর ভবিষ্যতে সরকারের কোটি-কোটি টাকার সম্পদ বেহাত হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ২০১৮ সালের পর দেশে কোনো বিদ্যুৎ সংকট থাকবে না। এই সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান করা হবে।

ই-জুডিশিয়ারি আগামী বছর থেকে পর্যায়ক্রমে সব জেলায় চালু করা হবে বলে জানান তিনি।

সিলেট জেলা জজ মনির আহমেদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সিলেট জেলা জজ আদালতের পিপি মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, জিপি খাদেমুল মিল্লাত জালাল, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি একেএম সমিউল হক প্রমুখ।

(ওএস/এএস/০২ মার্চ, ২০১৬)