শরীয়তপুর প্রতিনিধি : এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে পিটিয়ে অজ্ঞান করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে। হাসপাতালে ভর্তির  প্রায় ৩ ঘন্টা পর সংজ্ঞা ফিরে আসে ওই নির্যাতিত শিক্ষার্থীর। মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের বিয়ে করার ও নানা কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আহত ছাত্রীর বাবা শাহ আলম খান ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার মাহমুদপুর খাঁ পাড়া দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেনীর ছাত্রী তাসলিমা বেগমকে বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় মাদ্রাসার সুপার আনোয়ার হোসেন মারধর করে । সুপারের লাঠির প্রবল আঘাত তাসলিমার মাথায় লাগলে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরে সে। পরে তাসলিমার সহ পাঠিদের আত্ম চিৎকারে এলাকার লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে এনে দুপুর ১২টার দিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে । এরপর ডাক্তারের চিকিৎসা প্রদানের অন্তত ৩ ঘন্টা পর জ্ঞান ফিরে আসে ছাত্রীটির। মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, উক্ত মাদ্রাসা সুপার ইতিপূর্বে এক ছাত্রীকে বিয়ে করেন। এছারাও অপর কয়েকজন ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন ধরনের কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে।

তাসলিমার সহপাঠি শুরভী ও লিমা আক্তার জানান, গত ১০ দিন আগে সুপার স্যাওে আমাদেও ক্লাসের পড়া দিয়ে ছুটিতে চলে যায়। ছুটি থেকে ফিরে এসে ক্লাসে ঢুকে তাসলিমার কাছে পড়া জানতে চায়। তাসলিমা ঠিকমত পড়া দিতে না পারায় হুজুরের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে বিদমভাবে পিটাতে থাকে। তাসলিমার মাথায় একটি আঘাত লাগার সাথে সাথে সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। এরপর আমরা চিৎকার দিলে এরাকার লোজন এসে তাসলিমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক দেবাশীশ সাহা জানান, আহত তাসলিমাকে হাসপাতালে ভর্তির সময় তার মাথার নিচে কপালে একটি ক্ষত চিহ্ন ছিল। দীর্ঘ চিকিৎসার পর তাসলিমার জ্ঞান ফিরে এলে সে জানায় মাদ্রাসা সুপার তাকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে।

তাসলিমার বাবা শাহ আলম খান বলেন, মাদ্রাসার সুপার আমার মেয়েকে পিটিয়ে আহত করার খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার কওে প্রথমে স্থানীয় একটি ফার্মেসীতে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পরেও জ্ঞান না ফিরলে পওে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করি। প্রায় ৩ ঘন্টা চিকিৎসার পরে তাসলিমার জ্ঞান ফিরে আসে।

এ ব্যাপারে মাহমুদপুর খা পাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, ছাত্রীরা বেয়াদবী করার কারণে আমি অন্য এক জন পিটান দিতে গিয়ে অসাবদাধতা বশত উক্ত ছাত্রীর মাথায় আগাত লাগার কারণে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে।

(কেএনআই/এএস/০২ মার্চ, ২০১৬)