স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : লিওনেল মেসির আলোয় আর্জেন্টিনার বাকি তারকাদের ঢাকা পড়ে যাওয়ার অবস্থা। কিন্তু ব্যতিক্রম সার্জিও আগুয়েরো। তার বিশ্বাস, বিশ্বকাপের উত্তাপ সামলানোর ক্ষমতা আছে তার। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার গোল্ডেন বুট বগলদাবা করার সামর্থ্যও আছে তার।

তার দাবি, অবশ্য কোনোভাবেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এর আগে যুব বিশ্বকাপে জাদু দেখিয়েছেন তিনি। সেবার টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বলের পাশাপাশি গোল্ডেন বুট জিতে আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জিতিয়েছিলেন। এবার ব্রাজিল বিশ্বকাপ রাঙাতে চান আগুয়েরো।

প্রথম বিশ্বকাপেই সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জিতেছিলেন এক আর্জেন্টাইন। ১৯৩০ বিশ্বকাপে ৮ গোল করেছিলেন গিলের্মো স্টাবিল। এরপর এ সম্মানজনক পুরস্কার জিতেছিলেন মারিও ক্যাম্পেস। তার ৬ গোলে ১৯৭৮ বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর দিয়াগো ম্যারাডোনা, গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতা, হার্নান ক্রেসপো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে সিলভার বুট জিতেছিলেন।

কিন্তু গত ৩৬ বছরে আর্জেন্টিনার কোনো ফুটবলার গোল্ডন বুট জিততে পারেননি। তবে আগুয়েরো গোল্ডেন বুট জেতার হুঙ্কার দিলেও তার বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতা কিন্তু মোটেও সুখকর নয়। চার বছর আগে নিজের প্রথম বিশ্বকাপে একটি গোলও করতে পারেননি তিনি। তার বিশ্বাস এবার তিনি জ্বলে উঠবেনই। তার আত্মবিশ্বাসের কারণ, সদ্য শেষ হওয়া মৌসুমে তার ফর্ম।

২৮ গোল করে ম্যানচেস্টার সিটিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা জিতিয়েছেন এ আর্জেন্টাইন। ক্রীড়াসামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান পিউমার এক প্রচারে অংশ নিয়ে তিনি বলেছেন, বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতা এবার মুছে দিতে চান তিনি। ২৫ বছর বয়সী এ তারকা বলেন, 'অবশ্যই আমার পক্ষে গোল্ডেন বুট জেতা সম্ভব! পুরস্কারটি তো জেতার জন্যই আছে।' নিজের সম্ভাবনার পাশাপাশি দল নিয়ে আশাবাদী তিনি, 'আমরা বিশ্বকাপও জিততে পারি। তবে কাজটা মোটেও সহজ হবে না।'

আগুয়েরো হলেন সে প্রজাতির ফুটবলার, যিনি নিজের সীমাটা জানেন। হয়তো সে জন্যই বল নিয়ে খুব একটা ড্রিবলিং করেন না। আগুয়েরো নিজেও মানেন যে, তিনি 'বল প্লেয়ার' নন। তাই বল নিয়ে বেশি কারিকুরি করার বদলে সরাসরি খেলতে পছন্দ করেন তিনি। এ বিষয়ে তার সরল স্বীকারোক্তি, 'আমি সব সময়ই স্টেপওভারগুলো অনুকরণ করতে চেয়েছি। একবার অনুশীলনে সেটা করতে গিয়ে পড়ে যাই। এরপর থেকে এটা করা বাদ দিয়েছি। এখন আমি কেবল আমার নিজের খেলাটা খেলার চেষ্টা করি।'

(ওএস/পি/জুন ০২,২০১৪)