শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুর আদালত থেকে যৌতুকের একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শরীয়তপুরের চরঙ্গীর মোড়ে পৌছলে পিতা পুত্রকে অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে পালং থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ৮/১০ কে আসামী করে পালং থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পালং থানার পুলিশ সংবাদ লেখা পর্যন্ত তাদের উদ্ধার করতে পারেনি।

মামলা বিবরণে ও অপহৃতের ভাই আলী আহম্মদ বেপারী জানায়, ৪ বছর আগে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার মীর কান্দাপাড়া গ্রামের হাসমত আলী বেপারী ছেলে জাকির হোসেন বেপারী সঙ্গে একই গ্রামের সামাদ মাদবরের কন্যা সাফিয়া বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেইে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এই কলহের জের ধরে মেয়ের বাবা ছামাদ মাদবর সম্প্রতি নারী-শিশু নির্যাতন দমন আদালতে একটি মামলা করেন।

চলমান মামলায় বুধবার নির্ধারিত তারিখে আদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে শরীয়তপুর জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে পৌছালে ছাদেক আলি মাদবর, দাদন মাদবর, মৃনাল মাদবরসহ ৮/১০ জনের একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল তাদের বহনকৃত ইজিবাইক এর গতিরোধ করে। এরপর তাদের গাড়ি থেকে অস্ত্রের মুখে জোরপূর্বক নামিয়ে প্রথম জনসমক্ষে বেদমভাবে মারপিট করে অপর একটি গাড়িতে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। একই গাড়িতে থাকা হাসমত আলীর ছোট ভাইর স্ত্রী আর্তচিৎকার করলে আশে পাশের পথচারি ও দোকানদারেরা এগিয়ে এলেও তাদের উদ্ধার করতে পারেনি। এ ঘটনায় রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে পালং থানায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ৮/১০ কে আসামী করে পালং থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত পালং মডেল থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করতে পারেনি।

মামলার বাদী রোকেয়া বেগম বলেন, বুধবার সকালে একটি যৌতুক মামলায় হাজিরা দিয়ে আমার ভাসুর ও তার ছেলেসহ আমরা বাড়ী ফেরার পথে চৌরঙ্গী মোড় এলাকা থেকে ৮/১০জন সন্ত্রাসীরা আমার ভাসুর ও তার ছেলেসহ অপহরন করে নিয়ে যায়। এখনো তাদেরকে উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান বলেন,সংবাদ পাওয়ার পর থেকে পুলিশী অভিযান অব্যাহত আছে। খুব শীঘ্রই তাদের উদ্ধার করা সম্ভাব হবে বলে আশা করছি।

(কেএনআই/এএস/০২ মার্চ, ২০১৬)