স্টাফ রিপোর্টার : বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সচেতনতার মাধ্যমে অনেকাংশেই কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা সম্ভব।

আসন্ন বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে `শিশুদের কিডনি রোগ: শুরুতেই প্রতিরোধ` শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। সেচ্ছাসেবী সংস্থা কিডনি অ্যাওয়ারনেস মনিটিরিং অ্যান্ড প্রিভেনশন সোসাইটি (ক্যাম্পাস) এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।

বক্তারা বলেন, কিডনি দিবসের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এ রোগের ব্যপকতা ও ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা ও কিডনি বিকল প্রতিরোধে প্রাথমিক অবস্থায় রোগ শনাক্ত এবং চিকিৎসা করে সুস্থ জীবনে ফিরে আনা।

বৈঠকে ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের কিডনি বিভাগের প্রধান ও ক্যাম্পাসের সভাপতি ডা. এম এ সামাদ মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যপী কিডনি রোগের হার আশংকাজনক। দেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ কোন না কোনভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত। কিডনি বিকলের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল বিধায় দেশের শতকরা ১০ জন রোগী চিকিৎসা চালিয়ে যেতে পারে না। ফলে অর্থাভাবে অকালে মৃত্যু হয় সিংহভাগ রোগীর।

ডা. এম এ সামাদ আরো বলেন, অথচ একটু সচেতন হলেই ৫০ থেকে ৬০ ভাগ ক্ষেত্রে কিডনি বিকল প্রতিরোধ করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি রোগের উপস্থিতি ও এর কারণ শনাক্ত করে চিকিৎসা করা এবং স্বাস্থ্যসম্মত লাইফস্টাইল শিশুকাল থেকে বৃদ্ধকাল পর্যন্ত মেনে চলা।

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, বিশ্বব্যপী আজ কিডনি রোগের ভয়াবহতা সংশ্লিষ্ট সকলেই উপলব্ধি করতে পারছেন। চিকিৎসা করে নয় বরং প্রতিরোধ করেই এ রোগের প্রাদূর্ভাব কমাতে হবে। এ জন্য সচেতনতাই একমাত্র উপায়।

তারা আরো বলেন, শুধু লাইফস্টাইল পরিবর্তন করে ৬৮ শতাংশ মৃত্যু ঝুঁকি কমানো সম্ভব। এ সব লাইফস্টাইল হলো প্রধানত প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাটা, পর্যাপ্ত ফলমুল ও শাক-সবজি খাওয়া, পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ও ধুমপান মুক্ত থাকা।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কিডনি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আর রশিদ, বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফিরোজ খান, পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মোহাম্মাদ হানিফ প্রমুখ।

(ওএস/এএস/মার্চ ০৫, ২০১৬)