নিউজ ডেস্ক : নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমান নিহত হওয়ার জের ধরে চারদিন বন্ধ থাকার পর মিয়ানমার থেকে পণ্যবাহী একটি জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছে আজ।

সোমবার বিকেল ৩টার দিকে জাহাজটি বন্দরে নোঙর করে।

সম্প্রতি মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) গুলি করে মিজানকে হত্যার পর তার মৃতদেহটি নিয়ে যায়। এ নিয়ে দুই দেশের সীমান্তে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়।

টেকনাফ স্থলবন্দরের ম্যানেজার আবু নুর খালিদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘পণ্যবাহি জাহাজটিতে বার্মিজ আচার, জুতা, আদা ও শুটকি মাছ রয়েছে। এখন থেকে স্বাভাবিকভাবে পণ্যবাহি ট্রলার ও জাহাজ মিয়ানমার থেকে আসবে বলে আশা করছি।’

গত বৃহস্পতিবার থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে কোনো ধরনের পণ্যবাহী ট্রলার কিংবা জাহাজ টেকনাফ স্থল বন্দরে আসেনি। তবে বন্দরের অভ্যন্তরে মজুদ থাকা পণ্যসামগ্রী ট্রাকে ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়েছে।

বন্দরের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিপি গুলি করে বিজিবির নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমানকে হত্যার ঘটনায় উভয় দেশের সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরপর থেকে মিয়ানমারের জলসীমানায় দেশটির নৌবাহিনীর তিনটি যুদ্ধ জাহাজ অবস্থান করায় সেদেশ থেকে পণ্যবাহী ট্রলার বা জাহাজ টেকনাফ বন্দরে আসেনি।

বন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তা নুরে আলম রাইজিংবিডিকে জানান, গত কয়েকদিনে মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রলার, জাহাজ আসেনি টেকনাফে। এতে করে বাংলাদেশ সরকার দৈনিক ৩৫ লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের কমান্ডার লে. কাজী হারুন উর রশিদ বলেন, ‘সম্প্রতি মিয়ানমার সীমান্তরক্ষীদের হাতে বিজিবি হত্যার ঘটনায় সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।’

এ ছাড়া বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমারের যুদ্ধজাহাজ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সেন্টমার্টিনের পূর্বদিকে মিয়ানমারের তিনটি যুদ্ধজাহাজ নিয়ে কথা শোনা যাচ্ছিল। তবে অনুসন্ধান করে জানা গেছে সেখানে কোনো যুদ্ধজাহাজ নেই। সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক রয়েছে।’

(ওএস/এস/জুন ০২, ২০১৪)