নিউজ ডেস্ক : চলতি অর্থবছরে প্রবাসি আয়ে (রেমিটেন্স) আশানুরূপ সাড়া মেলেনি। মে মাসেও কমেছে রেমিটেন্স। আলোচ্য মাসে ১২০ কোটি ২১ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাসিদের কাছ থেকে দেশে এসেছে।

এপ্রিল মাসে যার পরিমাণ ছিল ১২৩ কোটি মার্কিন ডলার। সে হিসেবে এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে প্রায় তিন কোটি ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, মার্চ মাসে রেমিটেন্স কিছুটা বাড়লেও এপ্রিলে মাস তা আবার কমে যায়। মার্চে প্রবাসীরা মোট ১২৭ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ১১৭ কোটি ও জানুয়ারিতে ১২৬ কোটি ডলারের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছিলেন।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) এক হাজার ২৯২ কোটি ৬৮ লাখ ডলার এসেছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিলো ১ হাজার ৩৪০ কোটি ডলার। সে হিসেবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ৪৭ কোটি ৩২ লাখ ডলার।

রেমিট্যান্স কমার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি অনেক কমে গেছে। বেসরকারি পর্যায়ে জনশক্তি রপ্তানিতে অনীহা এবং সর্বোপরি সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতায় রেমিটেন্স প্রবাহ নেতিবাচক ধারায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

এছাড়া বেশ কিছুদিন ধরে ডলারের বিপরীতে টাকা শক্তিশালী হওয়ায় প্রবাসীরা এখন আর আগের মতো অর্থ দেশে পাঠাতে আগ্রহী হচ্ছে না। তবে রমজানকে সামনে রেখে আগামিতে বেশি পরিমাণে রেমিটেন্স দেশে আসবে বলে আশা করছেন তারা।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, মে মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিটেন্স এসেছে ৩৭ কোটি ১১ লাখ ডলার, যা এপ্রিলে ছিল ৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৫৩ লাখ ডলার, যা আগের মাসে ছিল ১ কোটি ৬৫ লাখ ডলার। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮০ কোটি ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। যেখানে এপ্রিল শেষে এসেছিল ৮০ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

আর বিদেশি খাতের ৯টি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৪১ লাখ ডলার। যা মার্চে ছিল এক কোটি ৪৩ লাখ ডলার। এদিকে বিদায়ী বছরে প্র্রবাসী বাংলাদেশিরা এক হাজার ৩৮৪ কোটি ডলারের সমপরিমাণ মূল্যের রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন। যা এর আগের বছরে ছিলো এক হাজার ৪১৮ কোটি ডলার। সে হিসেবে গতবছরে রেমিটেন্স কমেছে ৩৪ কোটি ডলার বা ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

(ওএস/এস/জুন ০২, ২০১৪)