লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধিঃ নড়াইলের লোহাগড়ায় সূর্যের হাসি ক্লিনিকের সাবেক ম্যানেজার মোঃ হামিমুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। টাকা আত্বসাতের ঘটনায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ গতকাল মঙ্গলবার লোগহাগড়া থানায় একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার পার মল্লিকপুর গ্রামের রায়হান উদ্দিনের ছেলে সাবেক ম্যানেজার মোঃ হামিমুর রহমান ২০১০ সালের ৬ নভেম্বর শহরের গোপিনাথপুরের সূর্যের হাসি ক্লিনিকে ‘ম্যানেজার’ হিসেবে যোগদান করেন। ম্যানেজার মোঃ হামিমুর রহমান এবং ওই ক্লিনিকের প্যারামেডিক রূপালী খানমের নামে রূপালী ব্যাংক লোহাগড়া বাজার শাখায় যৌথ নামে এসসিডি-১০ এবং এসসিডি-১১ নং হিসাব থেকে রূপালী খানমের স্বাক্ষর জাল করে ওই ম্যানেজার চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারী ক্লিনিকের নামে জমাকৃত ১০ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। এ ছাড়া তিনি ক্লিনিকের একটি মোটর সাইকেলসহ মূল্যবান কাগজপত্র হাতিয়ে নেন। টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি ২০ জানুয়ারী ফাঁস হয়ে পড়লে ওই ম্যানেজার ক্লিনিকে আসা বন্ধ করে দেন।

পরবর্তীতে জাতীয় তরুণ সংঘ(জেটিএস)’র লোহাগড়া উপজেলা সভাপতি বিএম লিয়াকত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক স ম গোলাম রসুল বুলু, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ আশরাফুল আলম, সাধারণ সম্পাদক শিকদার নজরুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ক্লিনিকে অনুষ্ঠিত এক শালিসী সভায় অভিযুক্ত ওই ম্যানেজার ক্লিনিকের আত্মসাৎকৃত ১০ লক্ষ টাকার মধ্যে ৫ লক্ষ টাকা ফেরত দেন এবং বাকী ৫ লক্ষ টাকা মঙ্গলবার (৮ মার্চ) ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও ওই ম্যানেজার টাকা ফেরত না দিয়ে তালবাহানা শুরু করেছেন। টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ক্লিনিকের প্যারামেডিক রূপালী খানম বাদী হয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে লোহাগড়া থানায় একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।

অভিযুক্ত সাবেক ম্যানেজার মোঃ হামিমুর রহমানের (মুঠোফোন নং-০১৯৫৪৬৩০৫৭৯) সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সূর্যের হাসি ক্লিনিকের এ্যাডমিন সহকারী বিনোদ বিশ্বাস টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি স্বীকার করে বলেন, ‘আত্মসাৎকৃত সমুদয় টাকা ফেরত পাওয়া না গেলে দাতা সংস্থা এই ক্লিনিকটি বন্ধ করে দিতে পারেন’।

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা অভিযোগপত্র পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘ম্যানেজার কর্তৃক টাকা আত্মসাতের ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।





(আরএম/এস/মার্চ০৯,২০১৬)