মহুয়া ভট্টাচার্য (বর্ধমান থেকে) : সাহিত্যে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুরর্শিদাবাদ জেলার রাহিলা সংস্কৃতি সংঘ কর্তৃক প্রবর্তিত  রাহিলা সাহিত্য পদক ২০১৬পেলেন কবি নাজমুল হক নজীর।

গত ০৬ মার্চ মুরর্শিদাবাদের কবি পল্লীতে আনুষ্ঠানিক ভাবে পদক প্রদান করা হয়।কবি পুএ সাইফুল্লাহ্ নজীর মামুন, কবি নাজমুল হক নজীর এর পক্ষে পুরষ্কার ও সম্মাননা পএ গ্রহণ করেন।উক্ত অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুরর্শিদাবাদ জেলা ছাড়াও কোলকাতা, আসাম, এিপুরা,বর্ধমান, নদীয়া,বীরভ’ম, উঃদিনাজপুর,দঃদিনাজপুর,দঃ ২৪ পরগনা ও বাংলাদেশ থেকে প্রায় শতাধিক কবি,সাহিত্যিক ও সাংবাদিক অংশ গ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে আগত বিশেষ অতিথি আর এম জি বিডি নিউজের সম্পাদক কবির আহম্মেদ লিনজু তাঁর বক্তৃতায় বলেন-দুই বাংলার মানুষকে একত্রিত করার সেতু বন্ধনের অন্যতম বিষয়টি হলো সাহিত্য।

তিনি আরো বলেন- মূলত সাহিত্য দিয়েই এপার ও ওপার বাংলার মানুষের মাঝে সেতুবন্ধন রচিত হয়েছে এবং যা এখনো অব্যহত রয়েছে।উক্ত অনুষ্ঠানে গোরাচাঁদ মুখার্জীর সভাপতিত্বে পশ্চিমবঙ্গের সিপিএম সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন,অমরচাঁদ কুন্ডু,বীরভ’মের বিখ্যাত বাউল শিল্পী নারায়ণ কর্মকার, রাহিলা সংস্কৃতি সংঘের পৃষ্ঠপোষক কবি, গীতিকার ও গবেষক আব্দুর রফিক খান, আহবায়ক অরুণ কুমার চক্রবর্তী ও মুখপাত্র শামীমা নাসরিন উপস্থিত ছিলেন। বক্তাগন অবিভক্ত বাংলার বিপ্লবী নারী স্বাধীনতা সংগ্রামী রাহিলা খাতুন ও বাংলা ভাষার সত্তর দশকের অন্যতম কবি নাজমুল হক নজীর এর জীবন ও সৃষ্টিকর্ম নিয়ে আলোচনা করেন এবং জাতি ও সমাজ বিনির্মাণে সাহিত্যের অবদানের কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিখ্যাত অভিনেত্রী মহুয়া চক্রবর্তী। মুরর্শিদাবাদের রাহিলা সংস্কৃতি সংঘ ৩১ বছর যাবৎ এ পুরষ্কার প্রদান করে আসছে।

উল্লেখ্য, রাহিলা সাহিত্য পদক ২০১৬ ছাড়াও কবি নাজমুল হক নজীর সাহিত্যে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা এবং কবি শামসুর রাহমান স্মৃতি পুরস্কার, কবি গোবিন্দ চন্দ্র দাস স্মৃতি পুরস্কার, কবি খান মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন সাহিত্য পুরস্কার, কবি বাবু ফরিদী স্মৃতি পদক, আমীর প্রকাশন সাহিত্য পুরস্কার, গীতিকার ক্লাব সম্মাননা, এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন সম্মাননা সহ নানা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।। এ পর্যন্ত কবি নাজমুল হক নজীর এর ১৪টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে।

কবির প্রকাশিত ১ম গ্রন্থ “সাধনার ফসল” (১৯৭৭)। এরপর একে একে প্রকাশ পায়-“আবার শ্লোগান” (১৯৮৬) “স্বৈরিণী স্বদেশ” (১৯৯৫), “নোনা জলের বাসিন্দা” (১৯৯৬) “কালো জোছনার এক চুমুক” (১৯৯৭), “কার কাছে বলে যাই” (২০০০), “ঘুরে দাঁড়াই স্বপ্ন পুরুষ” (২০০৪), “স্বপ্ন বাড়ি অবিরাম” (২০১১), “এভাবে অবাধ্য রঙিন” (২০১২) “ইষ্টি কুটুম মিষ্টি কুটুম” (২০১২), ভিটেমাটি স্বরগ্রাম (২০১৩ সর্বশেষ কাব্যগ্রন্থ) এছাড়া “আমার নির্বাচিত কবিতা” (২০০৫), ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিষয়ক প্রকাশনা “আমাদের ফরিদপুর-১ অঞ্চল” (২০১০), সম্পাদিত গ্রন্থ “গাজী খোরশেদুজ্জামানের কিশোর কবিতা” (২০১২),কবিতা সমগ্র (২০১৬) ।

(এমবি/এএস/মার্চ ০৯, ২০১৬)