মাদারীপুর প্রতিনিধি :২০৩০-এর অঙ্গীকার, নারী-পুরুষের সমতার শিরোনামে সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক মাদারীপুর জেলা শাখার আয়োজনে, জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরাম, ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার ও বিকশিত নারী, এএসএফ ও দি হাঙ্গার প্রজেষ্ট বাংলাদেশের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এক মানববন্ধন কর্মসূচি ও সংগ্রামী নারীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

বিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে দুপুরে মানববন্ধন শেষে বিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এনামুল হক।

অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের আহবায়ক এবিএম বজলুর রহমান মন্টু খান, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খান, সুজনের মাদারীপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজন মাহমুদ, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় উপ কমিটির সহ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি এড. আসাদুজ্জামান দুর্জয়, যুবলীগের মাদারীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান রুবেল খান, কবি ও লেখক শারমিন মুর্শিদা খান কুমকুম, সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার তাসমিনা খান, আলহাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈদয় আকমল হোসেন পিলু, বিটিভির সাংবাদিক মাহাবুবুর রহমান বাদল, আয়শা সিদ্দিকা আকাশী, সঞ্জয় কুমার অভিজিৎ, মেহেদী হাসান সোহাগ, শাহাদাত আকন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন উদ্ভাসের সাধারণ সম্পাদক কুমার লাভলু। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দেশবরণ্যে শিল্পি নকুল কুমার বিশ্বাস গান পরিবেশন করেন।

৮ মার্চ নারী দিবস উপলক্ষে পুলিশ অফিসার মরহুম হাবিবুর রহমান খানের স্ত্রী সফুরা হাসনে হেনাকে সংগ্রামী নারী হিসেবে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

স্বামী মারা যাবার পর সমাজের অনেক বাধা পেরিয়ে সংগ্রাম করে মাদারীপুরের এই সংগ্রামী নারী তার ৭ মেয়ে ও ৩ ছেলেকে সুশিক্ষিত করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। সফুরা হাসনে হেনা মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাকে রান্না করাসহ নানা ধরণের সহযোগিতা করেছেন।

অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পাভেলুর রহমান শফিক খান জানান, সাংবাদিক আয়শা সিদ্দিকা আকাশী এই বিদ্যালয়ের ছাত্রী। তাই এবারের স্কয়ার গ্রুপ থেকে কীর্তিমতী নারী সাংবাদিক-২০১৫ সম্মাননা পাওয়ায় মাদারীপুরবাসী গর্বিত। তাই তাকে স্কুল থেকে সম্মাননা দেয়া হবে। যাতে করে মাদারীপুরের নারীরা উৎসাহিত হয়ে এগিয়ে যেতে পারে।


(এএস/এস/ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬)