চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি: বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সাইয়িদ বলেছেন, সরকার চলনবিল নিয়ে কোন পরিকল্পনা করেনি, বড়ালের জন্য কোন প্লান নেই, একই অবস্থা রাজধানী ঢাকারও। ওই দৃষ্টি ভঙ্গি ও শিক্ষাই নেই। সুন্দরবনকেও একইভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে। সুন্দরবন নিয়ে কোন সার্ভে বা গবেষণা হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা সকল নদী নিয়ে আন্দোলন করছি। সরকার একটা জগদ্বল পাথর, সেটা নড়ে না, নড়াতে হয়। এ পাথরের অনেক ভালো দিক আছে। সরকারে ভালো লোক আছে, আবার অনেক খারাপ লোক আছে। খারাপরা সহজেই একত্রিত হয়। কিন্তু নাগরিকরা যদি দাঁড়ায়, তাহলে ভালোরা সংঘবদ্ধ হয়। পাথরকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য নিদ্রাহীন সুশীল সমাজ দরকার। বড়াল ধাক্কা দিয়েছে, চলনবিলকেও ধাক্কা দিতে হবে।

সোমবার দুপুরে পাবনার চাটমোহরের হারডো হলরুমে বড়াল রক্ষার দাবিতে অনুষ্ঠিত গণজমায়েত পূর্ব মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এ্যাড. গৌড় চন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. আ. মতিন চলনবিল রক্ষায় সকল উপজেলাতে আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।

সভায় বক্তব্য দেন, বড়াল ও চলনবিল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব এস এম মিজানুর রহমান, এনজিও ব্যক্তিত্ব আফজাল হোসেন, সিংড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, রায়গঞ্জের দীপক কুমার কর, তাড়াশের মোঃ রুহুল আমিন, রোকেয়া আজাদ, ডেইজি আহমেদ, খোরশেদ আলম, এম এ হাফিজ, হেলালুর রহমান জুয়েল, ডা. অঞ্জন ভট্টাচার্য, এস এম হাবিবুর রহমান, বেলাল হোসেন স্বপন, মোঃ মোহররম হোসেন প্রমুখ।

পরে বেলা ৩ টায় চাটমোহর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন ও বড়াল রক্ষা আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বাপা’র সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন নাটোর-৪ আসনের এমপি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস।

বড়াল রক্ষা আন্দোলনের আহবায়ক ভাষা সৈনিক অ্যাডভোকেট গৌরচন্দ্র সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল মতিন, চাটমোহর পৌরসভার মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলাল, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র খ. ম. কামরুজ্জামান মাজেদ, চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেগম শেহেলী লায়লা, বেসরকারী সংগঠন রুলফাও এর নির্বাহী পরিচালক আফজাল হোসেন প্রমুখ।

গণসমাবেশে চলনবিল অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলার জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সমাবেশ থেকে বড়াল উদ্ধারে চলনবিলের ১৪টি উপজেলার ১ লাখ মানুষের স্বাক্ষর চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর জমা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বড়াল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব এস এম মিজানুর রহমান।


(এসএইচএম/এস/মার্চ১৪,২০১৬)