ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্বকাপ ফুটবল আসরকে সামনে রেখে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে টেলিভিশন বাজার। ব্যাপক হারে বিক্রি হচ্ছে সিআরটি, এলসিডি এবং এলইডি টেলিভিশন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে দেশীয় ব্র্যান্ডের টিভি।

কদিন পরই ব্রাজিলে শুরু হচ্ছে দি গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ- বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ টেলিভিশনের পর্দায় সরাসরি উপভোগ করবেন এই খেলা। পিছিয়ে নেই বাংলাদেশের ফুটবল পাগল মানুষেরাও। খেলা দেখতে হবে তাই যাদের বাসায় টিভি নেই, কিংবা টিভিটা পুরনো হয়ে গেছে- তারা ছুটছেন টেলিভিশনের দোকানে।

ফুটবল উন্মাদনায় টেলিভিশনের বাড়তি চাহিদা সামলাতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে টিভি উত্পাদনকারী ও বিক্রেতারা। উত্পাদন বাড়ানো হয়েছে কয়েকগুণ। স্বাভাবিকের চেয়ে মজুদ বাড়ানো হয়েছে। সেই সঙ্গে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে দাম কমানোসহ নানা অফারও দেয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ টিভি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর ১২ থেকে ১৩ লাখ টেলিভিশন দেশে উত্পাদন ও সংযোজন হয়। প্রায় ২ লাখ টেলিভিশন সরাসরি আমদানি হচ্ছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে দেশে টিভি বিক্রির পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ ৪৪ হাজার। চলতি অর্থবছরে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে বিক্রি হয়েছে ৭ লাখ ৩৮ হাজার।

আর বি গ্রুপের হেড অব মার্কেটিং এমদাদুল হক সরকার বলেন, ওয়ালটনের টেলিভিশন বিক্রি গত এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে ৪১ শতাংশ বেড়েছে। উত্পাদন ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি মজুদও বেড়েছে। আগে ৩০ থেকে ৫০ হাজার টিভি মজুদ করা হতো। এবার ১ লাখ ৭০ হাজার থেকে দুই লাখ টিভি মজুদ রেখেছি। তিনি আরও জানান, দাম ক্রেতাদের হাতের নাগালে রাখার পাশাপাশি মডেলে বৈচিত্র্য আনা হয়েছে ওয়ালটন টেলিভিশনে।

ওয়ালটন, মার্সেল ছাড়াও রাজধানীর শোরুমগুলোতে যে সব ব্র্যান্ডের টিভি বেশি বিক্রি হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে-সনি, স্যামসাং, এলজি, সিঙ্গার, প্যানাসনিক, ট্রান্সটেক ইত্যাদি।

(ওএস/এইচআর/জুন ০৩, ২০১৪)