নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে নিহত ধর্ষিতা মাদ্রাসা ছাত্রী মরিয়মের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করলেন বগুড়ার পুলিশ সুপার মো: আসাদুজ্জামান।

সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার থালতা-মাঝগ্রাম গ্রামের নিহত ধর্ষিতার পিতা জামেদ আলী একছারের হাতে নগদ ১০হাজার টাকা সহায়তা প্রদানকালে উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশে পুলিশ সুপার মো: আসাদুজ্জামান বলেন, ছোট বাচ্চাদের প্রতি অভিভাবকদের সর্বদা নজর রাখতে হবে। সন্তানদের সাথে পিতা-মাতার বন্ধুসুলভ আচরণ করতে হবে। আপনাদের সন্তান স্কুলে যায় কিনা। কোথায় যাওয়া আসা করে, কেমন মানুষের সাথে উঠাবসা করে। এসব দিকে পিতা-মাতা ও পরিবারের লোকজনদের নজর রাখা আবশ্যক।

থানার ওসি হাসান শামীম ইকবাল বলেন, কোমলমতি শিশু, কিশোরদের প্রতি কঠোর না হয়ে প্রত্যেক পিতা-মাতাকে সন্তানদের বন্ধু হতে হবে। সন্তানদের চলাফেরায় নজর থাকলে কোনো অপরাধের সুত্রপাত ঘটবেনা বলে আমি মনে করি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আফছার আলীসহ এলাকার ব্যক্তিবর্গ।

উল্লেখ্য, গত শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার থালতা-মাঝগ্রাম গ্রামের জামেদ আলী একছারের মেয়ে থালতামাঝগ্রাম সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী মরিয়ম খাতুনকে(১১) ধর্ষণ করে একই গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে লম্পট ফরিদ মিয়া(২৮)। মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ওই রাতেই বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন রবিবার সকালে সে মারা যায়।

(এমএনআই/এএস/মার্চ ১৫, ২০১৬)