ভোলা প্রতিনিধি : ভোলার লালমোহনে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সর্মথকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, হামলা ও অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিয়ার হাট এলাকায় মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন।

লালমোহন সদর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, কর্মীদের নিয়ে বিকেলের দিকে ফুলবাগিচা বাজারে গণসংযোগে নামলে প্রতিপক্ষ নৌকা মার্কার প্রার্থী শাহজানের ছেলে সোহেলের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা আমাদের বাধা দেয়। আমরা থানা পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিষয়টি অবগত করে সেখান থেকে চলে আসি। রাত ৮টার দিকে সোহেলের নেতৃত্বে প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি মোটরসাইকেলে করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে মিয়ার হাট বাজারে আমার নির্বাচন অফিসে এসে হামলা করে ভাঙচুর চালায়। এতে নাহিম (২২), মুনসুর (২৫), আকবর (২৮), মোস্তফা শনি (২৮), রানা (২৬), মারুফ (২৮), শাকিল (২৭), আরিফ (৩০), কবির (২৭), নাহিদ (২৫), মোস্তাফিজ (৩৫), কামাল (৪০), রহিম (৩৫), ইকবাল (৩২), ফারুক (৪০), জামাল (২৮), রফিক (২২), সামিম শনি (২৬), আলাউদ্দিন মিয়া (৬৫) আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে আসতে না দেওয়ায় সবাইকে বাইরে প্রাথমিক চিকৎসা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি আরও বলেন, আমার কর্মীদের ওপর হামলা করে লালমোহন পৌর শহরে আমাদের মালিকাধীন মিয়া প্লাজা ও আরও কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর ক্যাডাররা। ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধের ছবি তুলতে গিয়ে আরটিভির ক্যামরাপার্সন ইউসুফ (৩৫), লালমোহন পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি জালাল উদ্দিন বিল্লাল (২৫) আহত হয়েছেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে লালমোহন সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।

এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আ. লীগ চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহজান মিয়া। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ প্রার্থীর লোকজন আমার নির্বাচন অফিসে হামলা করেছে।

সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়ে তিনি বলেন, কে বা কারা সুযোগ নেওয়ার জন্য সংবাদকর্মীর উপর হামলা করেছে তা আমি জানি না।

এর সঙ্গে তার কোনো নেতা-কর্মী জড়িত ছিল না বলেও তিনি দাবি করেন।

লালমোহন থানার ওসি আক্তারুজ্জামন বলেন, হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন।

(ওএস/এএস/মার্চ ১৬, ২০১৬)