নিউজ ডেস্ক : খুব প্রিয় আর কাছের বন্ধুটির ব্রেকআপ হয়ে গেছে। ঘর থেকে বের হচ্ছে না সে। যোগাযোগও করছে না কারো সাথে। গুটিয়ে রাখছে নিজেকে নিজের ভেতর।

ভালো লাগছেনা বন্ধুটিকে এমন অবস্থায় দেখতে? কিছু করতে চান? নিচের টিপস গুলো হয়তো আপনারই জন্য। এগুলো অনুসরণ করলে আপনার প্রিয় বন্ধুটির মুখে এক টুকরো হাসি ফুটবেই আর ভালো থাকবেন তিনি।
১. চকোলেট উপহার দিন-

বন্ধুকে চকোলেট, বিশেষ করে ডার্ক চকোলেট উপহার দিন। আর নিশ্চিত হোন যে সে সেটা খাচ্ছে। সম্ভব হলে খানিকটা হৈ চৈ করে তার সাথে ভাগ করে খান চকোলেটটা । ডার্ক চকোলেট শরীরে সেরোটোনিন নামক হরমোনের পরিমাণ বাড়িয়ে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই চকোলেটের সাথে আপনার সঙ্গ পেলে প্রিয় বন্ধুটি খানিক্ষণের জন্য হলেও বেশ ভালো থাকবে।
২. কান্না করতে দিন-

বন্ধুকে কথা বলতে দিন। তার মধ্যে জমানো সব রাগ আর কষ্ট বলে ফেলতে দিন। যদি সে কেঁদে ফেলে তাহলে কাঁদতেও দিন। ভুলেও তাকে থামানোর চেষ্টা করবেননা। সে হালকা হবে।
৩. সঙ্গ দিন-

বন্ধুর যেকোন সিদ্ধান্তে, যে কোন কথায় হ্যা বলুন। মানসিকভাবে তাকে সঙ্গ দিন। বিশ্বাস করান যে, যে কোন সময় আপনি তার সাথে আছেন। তাকে ভাবতে শেখান যে ভেঙে যাওয়া সম্পর্কটা তার জন্য কেন ভালো ছিল না। তবে সিদ্ধান্তগুলো যেন আপনার বন্ধুর জন্য ক্ষতিকর না হয় সেটাও খেয়াল রাখুন।
৪. ঘুরতে যান-

ব্রেক-আপের পর আপনার প্রিয় বন্ধুটি হয়তো চাইবে না ঘর থেকে বের হতে। কিন্তু চেষ্টা করুন তাকে বাইরে নিয়ে যেতে। খানিকটা জোর করে হলেও। চেনা পৃথিবীর ছোঁয়া পেয়ে তার মনের ভার কিছুটা হলেও কমবে।
৫. সহজ করে ভাবতে শেখান-

ব্রেকআপের ফলে কি হারালাম- বন্ধুটিকে এমন জটিল ভাবনা থেকে দূরে রাখুন। তাকে সহজ করে ভাবতে শেখান। বারবার মনে করিয়ে দিন এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে সে নিজেকে কতটা নতুন ভাবে উপভোগ করতে পারছে।
৬. স্বাস্থ্যগঠনে মন দিন-

নিজে প্রতিদিন হাঁটতে বের হন বা জিমে যান। আর সাথে নিন বন্ধুটিকেও। ফলে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হবে। স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে। ভালো থাকবে বন্ধুর মনটিও।
৭. ভাবনা বদলাতে শেখান-

বন্ধুটি যেন ব্রেকআপের জন্য নিজেকে কখনো দোষী না ভাবে সেটা খেয়াল রাখুন। যেকোন ভুলের জন্য তাকে দোষ দেওয়া অল্প কয়েকদিনের জন্য হলেও বন্ধ করুন। ঠাট্টচ্ছলেও তাকে কোন ঘটনার জন্য দায়ী করবেননা।
৮. পছন্দের ব্যাপারে উত্সাহ দিন-

আপনার বন্ধুটি কী করতে ভালোবাসে? গান গাইতে, ছবি আঁকতে, রান্না করতে, ঘুরতে, খেতে? মনে করুন তার পছন্দের কাজটি আর তাঁকে ব্যস্ত রাখুন সেসবে। যেমন সে যদি খেতে পছন্দ করে, তাহলে তাঁর জন্য একটা কেক বানিয়ে নিন। এতে আপনার বন্ধুর পছন্দের কাজটাই কেবল করা হবে না, তাকে সুযোগ করে দেওয়া হবে নিজেকে স্পেশাল কেউ ভাবার।
৯. হাসতে শেখান-

বন্ধুটিকে হাসতে শেখান। তাকে আপনার চাইতে ভালো আর কেউ বুঝবে না। ফলে এক সময়ের হাসিখুশী মানুষটি যদি এখন একটু ম্লানও হয়ে যায়, তাকে আগের মতন হাসতে শেখাতে আপনার মতন ভালো আর কেউ পারবেনা।
১০. বিরত রাখুন-

প্রাক্তন ভালোবাসার মানুষটির সাথে যদি খুব বাজেভাবে সম্পর্কটি শেষ হয়ে যায়, তাহলে চেষ্টা করুন বন্ধুটিকে প্রাক্তনের সাথে যোগাযোগ রাখা থেকে বিরত রাখতে। তাকে সময় দিন। একটা সময় পর সে নিজেই ঠিক আগের মতন হয়ে উঠবে।

(ওএস/এটিআর/জুন ০৩, ২০১৪)