শেরপুর প্রতিনিধি : সোনালী আঁশ পাটের হারানো ঐতিহ্য আবারো ফিরে আসছে। পাট এবং পাটজাত সামগ্রীর বহুমুখী ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারও পাট চাষে নতুন প্রাণ ফিরিয়ে আনতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। উচ্চ ফলনশীল পাট চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে।

অল্প জমিতে অধিক পাট উৎপাদন এবং নিজের বীজ নিজেই উৎপাদন করার লক্ষ্যে শেরপুরের নকলায় পাট চাষীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের পাট অধিদপ্তরের উচ্চ ফলনশীল পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং উন্নত পাট পচন প্রকল্পের আওতায় নকলা পাট অধিদপ্তর এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে।
উপজেলা বিআরডিবি হলরুমে ৩ জুন মঙ্গলবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ পাটচাষী প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাট অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. বদরুল আলম ভুঁইয়া। উপজেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা আক্রাম হোসেনের সভাপতিত্বে এতে প্রশিক্ষক ছিলেন সহকারী পরিচালক স্বপন কুমার সরকার, নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আশরাফ উদ্দিন।
এ প্রশিক্ষণে নকলা উপজেলার ১০০ জন পাট চাষী কৃষক-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন। এতে পাট চাষীদেরকে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত ০-৭২ তোষা এবং ০-৯৮৯৭ ফাল্গুনী তোষা জাতের পাট চাষ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। একইসাথে কৃষকদেরকে উন্নত জাতের পাট বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ কলাকৌশল এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা প্রদান করা হয়।
(এইচবি/এএস/জুন ০৩, ২০১৪)