আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় নিয়ে সুর নরম করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সোমবার শিলিগুড়িতে এক প্রসাশনিক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

মমতা বলেন, ‘অন্য পক্ষ থেকে’ থেকে কোনো সমস্যা না থাকলে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ে সম্মত আছেন তিনি। তবে অন্যপক্ষ বলতে মমতা কাদের বোঝাতে চাচ্ছেন সেটি স্পষ্ট নয়।

ভারতের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত এক সংবাদে বলা হয়, দু‘দেশের ছিটমহলের বাসিন্দাদের সহজে চলাচলের প্রস্তাবে মমতার সরকারের কোনো বিরোধিতা ছিল না।

মমতা দাবি করেন, তার সরকার প্রস্তাবটি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং দুই দেশের ছিটমহলের বাসিন্দাদের যাতায়াত সহজ করার বিষয়েও কোনো সমস্যা নেই।

ইতোমধ্যে নরেন্দ্র মোদি সরকারও ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় নিয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছেন। মোদি প্রশাসন থেকে বলা হয়, কোনো রকম শর্ত ছাড়াই ছিটমহলের বাসিন্দাদের চলাচল সুবিধা দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ছিটমহল সমস্যা নিরসনে এর আগেও দুই দেশের সরকার বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েছে। এসব উদ্যোগের মধ্যে ১৯৫৮ সালে (সেময় বাংলাদেশ ছিল পূর্ব পাকিস্তান) নেহেরু-নূর চুক্তি এবং ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি উল্লেখযোগ্য। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং পশ্চিমবঙ্গের বিরোধিতায় এর কোনোটাই আলোর মুখ দেখেনি। এর আগে মমতা ছিটমহল বিনিময় নিয়ে বিরোধিতা করেছিলেন। তার এবারের বক্তব্যকে ইতিবাচক পরিবর্তন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী ও পঞ্চগড়ে ভারতের ১১১টি ছিটমহল রয়েছে। মোট ১৭ হাজার ১৫৮ একর জায়গা নিয়ে এসব ছিটমহলে বর্তমানে ৩৭ হাজারের বেশি মানুষের বসবাস রয়েছে। অন্যদিকে ভারতীয় ভূখণ্ডে বাংলাদেশি ছিটমহল রয়েছে ৫১টি, যার সবকটিই পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলায়। সাত হাজার ১১০ একর জায়গাজুড়ে ছিটমহলগুলোয় বাসিন্দা রয়েছেন ১৪ হাজার ২১৫ জন।

(ওএস/এটিআর/জুন ০৩, ২০১৪)