নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায় কৌশলে ফাঁদ পেতে অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নন্দীগ্রাম থানা পুলিশ।

এসময় লাইসেন্সবিহীন বাজাজ ডিসকভার মোটরসাইকেল আটক করা হয়। জানা গেছে, প্রতারক চক্রের সদস্যরা নারীকে দিয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নন্দীগ্রাম উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার যুবকদের স্বর্ণের পুতুলের লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছিল।

বিষয়টি জানার পর থানা পুলিশ বেশ তৎপর হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ও বিশ্বস্থ্য সোর্সের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে স্বর্নের পুতুল কেনার ছলে মঙ্গলবার ভোররাতে থানার ওসি হাসান শামীম ইকবালের নেতৃত্বে সেকেন্ড অফিসার মনিরুল ইসলাম ও কুমিড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (এসআই) গোলক চন্দ্র বর্মনসহ একদল পুলিশ সাদা পোষাকে বগুড়া শহরের সাতমাথা সপ্তবদী মার্কেটের সামনে অবস্থান নেয়।

পরে কৌশল অবলম্বন করে ফাঁদ পেতে অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকে হাতেনাতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা- জেলার কাহালু উপজেলার আটাশি গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে আবুল কালাম আজাদ(৩৪) ও একই উপজেলার সিংগারপাড়া গ্রামের আব্দুল আলীমের ছেলে শাহীন শেখ(২৫)। থানার ওসি হাসান শামীম ইকবাল জানান, এদের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থানায় দুটি মামলাসহ নকল পুতুলের ব্যবসা, প্রতারণা, অপহরণসহ জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চক্রটি বিভিন্ন এলাকার যুবকদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নারী ও স্বর্ণের পুতুলের লোভ দেখিয়ে ডেকে এনে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করাসহ নকল পুতুল দিয়ে লাখ লাখ টাকা প্রতরণা করতো।

তিনি জানান, প্রতারক চক্র ঢাকা জেলার এক ব্যক্তিকে নারী ও স্বর্নের পুতুলের লোভ দেখিয়ে বগুড়ায় ডাকে। বিষয়টি আমাদের জানালে কৌশল অবলম্বন করে ফাঁদ পেতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

(এমএনআই/এএস/মার্চ ২২, ২০১৬)