কক্সবাজার প্রতিনিধি : বাংলাদেশ মিয়ানমারের সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। ২৮ মে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) এর গুলিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নায়েক সুবেদার মিজানুর রহমান নিহত হওয়ার পর উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল।

মঙ্গলবার ওই পরিস্থিতি অনেকটা কেটে গেছে। তবে সীমান্তে এখনো অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করে সর্তকাবস্থানে রয়েছে।

সীমান্তবর্তী লোকজনের দেয়া মতে, বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকা নাইক্ষ্যংছড়ি, উখিয়ার বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত সংখ্যা বিজিবি সদস্য টহল অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে মিয়ানমারের পক্ষেও তাদের সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত সংখ্যা বিজিপি ও সেনা সদস্য মোতায়েন রয়েছে। তবে শুক্রবারের পর থেকে সীমান্তে আর কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

এ ঘটনার জের ধরে ৫ জুন মিয়ানমারের মংডু শহরের বিজিবি ও বিজিপি’র সেক্টর পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের কথা থাকলেও তা মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেননি বিজিবি’র কর্মকর্তা।

বিজিবি’র নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ৩১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, ৫ জুন পতাকা বৈঠকের কথা থাকলেও তা এখনো নিশ্চিত নয়।

অপরদিকে এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার থেকে তিন দিন টেকনাফ স্থলবন্দরে কোন পন্যবাহি জাহাজ না আসলেও সোমবার দুপুরের পর থেকে তা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরের অপারেশন ম্যানেজার আবু নুর খালিদ জানিয়েছেন, সোমবার ২ টি এবং মঙ্গলবার ২টি পন্যবাহী জাহাজ মিয়ানমান থেকে বন্দরে এসেছে। বন্দর থেকে মিয়ানমারে পন্য নিয়ে গেছে একটি জাহাজ।
(টিটি/এএস/জুন ০৩, ২০১৪)