কাছে আয়


কাছে আয় কাছে আয় বোতল আমার হুইস্কি ফোয়ারা।

জানান দিতে খরচ আছে তবু চারিভিতে পুঁতে রাখি ঢক্কানিনাদ বীজ,
নিচু হয়ে পা ছুঁই বাবা গোঁসাইয়ের, সকাল থেকে তারস্বরে নামগান;
নিজের আওয়াজ বুঝি, চক্রব্যুহে বেঁধে ফেলি অভিমন্যুকে,
কী যায় আসে যদি খসে পড়ে অগুনতি থেকে কেবল একটি তারা!

লোকে বলে এলোকেশী আমি বলি আলুলায়িত কেশদাম,
আদিম সকাল জেগে ওঠে, রাতের শ্মশানে তখনও পোড়াকাঠ
থেকে কুণ্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া ওঠে, জ্বালা ধরে চোখে-
প্রতিটি চিতায় পুড়ে পুড়ে যায় এক একটি আলাদা স্বপ্ন।

কাছে আয় কাছে আয় বোতল আমার হুইস্কি ফোয়ারা।


মন নিয়ে


একটু বসি,
এক গ্লাস জল দেবে ললনা?
আগেই বলেছি মন ক্যাথোড রে টিউব সর্বদা ছোটে ইলেকট্রন কণা,
ফুটিয়ে তোলে ছবি দূরের সিগন্যালে;
আয়নের পাণ্ডুলিপি লেখে আলোকপ্রবাহ,
তোমার প্রশংসা লিখেছি নিজের শরীরের চামড়ায়,
ধারালো নখের শিষে – বলিনি কাউকে,
এখনও জানে না কেউ।

জেগে উঠি নীল নীল সময়ে যদিও শূন্যতায়,
এক অতল শূন্যতা যেখানে প্রবাহিত যাবতীয় জীবন আর দুঃখবিলাস,
যেমন আমার পেয়ালায় ঢেলে যাও
সবুজ চায়ের সুরা ক্রমাগত অতলে,
মরুভূমি শুষে নিই সমস্ত প্রবাহধারা।

আমাকেও গ্রাস তুমি কর ললনা-
যেমন ছুটে যায় এই বনরাজি, গোটা টেক্সাস আর ব্রায়ান হ্রদের জল
তোমার উন্মুক্ত মুখ গহ্বরে,
আমিও বিলীন হব এক মরুপ্রান্তর নিয়ে।
আমাকে গ্রাস কর তুমি,
কবে করবে?


রাজ্যহীন সম্রাট


লজ্জা পেয়ে সরে আছিবসতে যাই নি
চেয়ারের পেছন ধরে অনেকে দাঁড়িয়ে
খুব চেনা জানা না হ’লে আমার অস্বস্তি হয়
এই সমস্ত সভঘরে

মিশতে পারি না হাসতে পারি না
মহিলাদের কাছে তাদের বাচ্চাদের কথা শাশুড়িদের কথা
জিজ্ঞেস করতে ভুলে যাই
নামও ভুলভাল বলি

যার সঙ্গে অনেক গল্প করেছি একদিনআমাকে
প্রণাম করে যে বলেছিলোআমাকে আপনি তুই বলবেন
তাকেই বলি ভালো আছেন আপনি কী যেন নাম
ফলত সে রেগে যায় আমিও দমে যাই

মেয়েরাও বিরক্ত হয় আমি ভাবি কেন আসি
ভিড়ের মধ্যে আর যাই না
আমার কাছে কেউআসে না
একা থাকি রাজ্যহীন সম্রাট


(/এস/মার্চ২৩,২০১৬)