বান্দরবান প্রতিনিধি :“ সুন্দর সম্প্রীতির মোদের বাংলাদেশ-পাহাড়ী বা বাঙ্গালী এদেশও বাসী-এক সাথে এগিয়ে যাবো” সম্প্রীতির এই দলীয় নৃত্যটি নিয়ে আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বান্দরবানের ১২টি সম্প্রদায় মাঠে নামছে।

সম্প্রীতির এই গানটি প্রথমে মারমা ভাষায় পরে বাংলা ভাষায় রচনা করা হয়েছে।

মারমা শিল্পী গোষ্ঠির প্রতিষ্ঠাতা ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউটের প্রশিক্ষক চথুই প্রু মারমা জানান, এবারই প্রথম ১১টি পাহাড়ী সম্প্রদায় এবং ১টি বাঙ্গালি সম্প্রদায়ের ৯৬ জনের বিশাল শিল্পীর বহর নিয়ে সম্প্রীতির নৃত্য পরিবেশন করা হচ্ছে। এর আগে ১৯৯৩ সালে বান্দরবান থেকে মাত্র ৫টি পাহাড়ী সম্প্রদায়ের শিল্পীরা জাতীয় স্টেডিয়ামে ডিসপ্লেতে অংশ নিয়েছিল। সম্প্রীতি নৃত্যের ডিসপ্লেটির কোরিওগ্রাফি করেছেন তিনি নিজেই।

পাহাড়ী প্রতিটি সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব পোষাকে তাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নৃত্যের মধ্যদিয়ে জাতির কাছে তুলে ধরবেন। তিনি আরো জানান, একমাত্র বান্দরবান জেলায় মারমা, চাকমা, তংচংঙ্গ্যা, ত্রিপুরা, মুরং, বম, লুসাই, পাংখো, খেয়াং, চাক, খুমি এই ১১টি পাহাড়ী সম্প্রদায়ের বসবাস। বাঙ্গালীসহ পাহাড়ীদের সম্প্রীতির বন্ধনই বান্দরবানের ঐতিহ্য। তাই এই ঐতিহ্যকে ধারণ করে পুরো বাংলাদেশ থেকে একমাত্র বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠির শিল্পীরা জাতীয় ষ্টেডিয়ামে ডিসপ্লে করার সুযোগ পেয়েছে। এ ব্যাপারে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনিষ্টিটিউটের পরিচালক মং নু চিং মারমা জানান, জাতীয় দিবসে প্রধানমন্ত্রীর সামনে জাতীয় ষ্টেডিয়ামে পারফর্ম করার সুযোগ সহজে হয় না। এটি রাঙ্গামাটির কালচারাল ইনিষ্টিটিউট করার কথা ছিল কিন্তু ভাগ্যক্রমে বান্দরবানে এসেছে। তাই বান্দরবানের পাহাড়ী-বাঙ্গালীর ১২টি সম্প্রদায় অংশ গ্রহনে সুন্দর একটি ডিসপ্লে উপহার দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।



(এএফবিএম/এস/মার্চ২৩,২০১৬)