ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীর মাজদিয়ায় মোল্লা পাড়ার নিকটে পদ্মা নদীতে মাছ ধরার সময় মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে দুর্বৃত্তের হামলায় ৩ জেলে আহত হয়েছে।

এ সময় দুর্বৃত্তরা মাছ ধরার নৌকা ডুবিয়ে দেয় এবং জাল পানিতে ফেলে দেয় । আহত ৩ জেলে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে রক্ষা পেলেও শরীরে আঘাতের ক্ষত নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা গ্রহন করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাঁড়া ঘাটের হালদার পাড়ার গোপাল হালদারের ছেলে উজ্জল হালদার (১৮) বলেন, প্রায় দুই মাস আগে মাজদিয়া মোল্লাপাড়ার সামনে মাছ ধরার সময় মোল্লাপাড়া এলাকার জেলেরা হামলা চালালে তাদের একজন আহত হয়।

এসময় এলাকার রানা সরদার ও দেলোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে সালিস বৈঠকে হামলাকারীদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় সিদ্ধান্ত হয়, নদীর ওই এলাকায় মোল্লা পাড়ার জেলেরা ২ দিন ২ রাত এবং হালদার পাড়ার জেলেরা ১ দিন ১ রাত মাছ ধরবে। উজ্জল জানায়, মঙ্গলবার তাদের মাছ ধরার দিনে মাছ ধরার জন্য দুটি নৌকা ও জাল নিয়ে এসে জাল ফেলতে ফেলতে দুই দিকে দুই নৌকা সরে যায়। এসময় ২০/২৫ জন দুর্বৃত্ত নৌকা নিয়ে এসে অতর্কিতে আমাদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। আমরা নদীতে ঝাপ দিয়ে সাঁতরিয়ে প্রাণে রক্ষা পাই। দুর্বৃত্তরা তাদের ইঞ্জন চাীরত নৌকটি ডুবিয়ে দিয়ে জাল পানিতে ফেলে দেয়।

তিনি আরো বলেন, দুর্বৃত্তের হামলায় সাঁড়ার প্রমথ হালদারের ছেলে পরিমল হালদার (৬৫) ও পরিমলের ছেলে উজ্জল (২২) আহত হয়েছে। এ ঘটানার জন্য তিনি মোল্লা পাড়া এলাকার জেলেদের দায়ী করে বলেন, পূর্বের মতোই পরিকল্পিতভাবে এই হামলা ঘটতে পাড়ে। এঘটনায় ঈশ^রদী থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

এ ব্যাপারে মাজদিয়ার দেলোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, মোল্লা পাড়া এলাকার জেলেরা ফাঁস জাল দিয়ে মাছ ধরতো। হালদার পাড়ার জেলেরা কচাল জাল ফেললে ফাঁস জাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সাঁড়ার জেলেদের উপর এরআগে আরো একবার হামলা ও মারপিট করা হয়। বিষয়টি সালিস করে জরিমানা ধার্য করে মিমাংসা করাও হয়। মঙ্গলবারের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, সাঁড়ার লোকজন রাতে যখন মাছ ধরতে আসে সেসময় মোল্লা পাড়ার জেলেরা বাঁধাই জাল পেতে বসেছিল এবং হামালার ঘটনাও ঘটেছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন, দুর্বৃত্তদের হামলার সময় হালদার পাড়ার জেলেরাও মোল্লা পাড়ার একটি মাছ ধরার নৌকা নিয়ে গেছে।

ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বিমান কুমার দাস জানান, কঠোরভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। যাতে এধরণের ঘটনা পুনরায় না ঘটে।

(এসকেকে/এএস/মার্চ ২৩, ২০১৬)