ধামরাই প্রতিনিধি : ঢাকার ধামরাই পৌরসভার বড় চন্ডাইল গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী প্রেমা আক্তার (৮) অন্য সবার মত সুন্দর এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চায়। সেও অন্য ছাত্র-ছাত্রীদের মত স্কুলে গিয়ে লেখাপড়া ও খেলাধুলা করতে চায়। লেখাপড়া করে মানুষের মত মানুষ হয়ে মানুষের সেবা করতে চায়। প্রেমার এ সুন্দর স্বপ্ন কি? শুধু স্বপ্ন থেকে যাবে?

প্রেমার বুকে ডান পাশের হাড় ছিদ্র হয়ে গেছে। প্রেমার বাবা শাহীন আলম একজন রিক্সা চালক। শাহীন সারাদিন রিক্সা চালিয়ে যা রোজগার করে তা দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খায়। তার উপরে মেয়ের অপরেশন করতে ২ লাখ টাকা লাগবে বলেছেন ডাক্তার। এত টাকা যোগাড় করা রিক্সা চালক শাহীন আলমের পক্ষে অসম্ভব। অপর দিকে মেয়ে অপরেশন করতে না পারায় দিন দিন মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। তিনি কি মেয়ের জীবন বাঁচানোর জন্য সংগ্রাম করবে? না কি পরিবারে সবার বাঁচার জন্য রিক্সা চালাবে?। তিনি নিজেই মনোবল হারিয়ে রাতদিন আল্লাহ’র দরবারে কান্না-কাটি করছে। প্রেমার মা খোরশেদা বেগম অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে একটু সহযোগিতার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছে। কে দিবে এত গুলো টাকা।

এ পৃথিবীতে এখনও অনেক মানুষ রয়েছে যারা মানুষের পাশে দাঁড়ায়। একজন বড় মনের মানুষ একজন দয়ালো ও হৃদয়বান ব্যক্তি নাই যে প্রেমার জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসতে পারে। তা যদি না থাকে তাহলে দশের লাঠি একের বোঝা হবে। আমরা সবাই যদি একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে প্রেমা নামের একটি মেয়েকে অকাল মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাতে পারবো। কেউ যদি প্রেমার বাঁচার স্বপ্নকে বাঁচাতে চান তাহলে তার চিকিৎসার জন্য বিকাশ নাম্বারে ০১৯২৪২০০০৮৪ টাকা পাঠিয়ে সহযোগিতা করার জন্য আহবান করছি।

(এএইচ/এএস/মার্চ ২৪, ২০১৬)