স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরের সদরপুরে এক কোটি টাকায় এক বিএনপি নেতার কাছে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা বিক্রি হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় আওয়ামীলীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই অভিযোগ করেছেন। নৌকা প্রতীক বিক্রির সাথে প্রভাশালীরা জড়িত হওয়ায় তারা এখনই প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছেন না। তবে উপযুক্ত সময়ে তারা এই অপপ্রক্রিয়ার যথাযথ জবাব দিবেন।

আসন্ন সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগের কেউ নৌকা প্রতীক পাচ্ছেন না, এমনটিই আশংকা দলীয় নেতা কর্মী সমর্থকদের। সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের বিএনপি দলীয় বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্থানীয় যুবদল সভাপতি জাফর কাজী নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন, এটা প্রায় নিশ্চিত। এলাকার বাতাসে খবর, এই ডিগবাজি মেকানিজমে ৫৫ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সদরপুর স্টেডিয়ামে আওয়ামীলীগের এক বিতর্কিত সমাবেশে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ্‌র হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগ দেন যুবদল নেতা ও সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জাফর কাজী। তারপর থেকেই এলাকায় মুখরোচক খবর, কোটি টাকায় নৌকা মার্কা কিনলেন বিএনপি নেতা জাফর কাজী !

স্থানীয় ওই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম কেনা ও জমা দেওয়ার সময় ছিল গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি। ওই সময়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনে জমা দিয়েছেন সুশীল চন্দ্র দাস, ইসমাইল ফকির, ফকির মামুন প্রমুখ। দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের বক্তব্য, নির্ধারিত ওই সময়ে বিএনপি নেতা জাফর কাজী আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম কেনেননি বা জমা দেননি। তিনি আওয়ামীলীগেই যোগ দিয়েছেন ১৯ ফেব্রুয়ারি। তাদের জিজ্ঞাস্য, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ ও পূরণ করে জমা না দেওয়া সত্বেও বিএনপি নেতা জাফর কাজী ডিগবাজি দিয়ে কি করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হবেন?

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইসমাইল ফকির সদরপুরের এই মনোনয়ন বানিজ্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন, দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা যদি মনোনয়ন বানিজ্যের এই নোংরা বিষয়টি জানতে পারেন, তাহলে কিছুতেই বিএনপি নেতা জাফর কাজীর নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবার খায়েস পূরণ হবে না।

(এসআর/অ/মার্চ ২৬, ২০১৬)