চট্টগ্রাম প্রতনিধি : কবি অরুণ সেন আর নেই।শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সাহিত্য পত্রিকা ‘ঋতপত্র’র সম্পাদক অরুণ সেনের বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। তিনি এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী রেখে গেছেন।

অরুণ সেনের ছোট ভাই বরুণ সেন বলেন, সকাল ৮টার দিকে অসুস্থ বোধ করলে এই কবিকে দ্রুতই হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।“হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা জানান।”

বেলা ১২টার দিকে কবি অরুণ সেনের মরদেহ তার নিত্যদিনের আড্ডাস্থল চেরাগী পাহাড় মোড়ে নেওয়া হয়।

এসময় তাকে শ্রদ্ধা জানাতে শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ, সংস্কৃতিকর্মী, শিল্পী, কবি বন্ধুরা সেখানে জড়ো হন।

কবির মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজ বিজ্ঞানী অনুপম সেন, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, কমিউনিস্ট পার্টি চট্টগ্রামের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম।

কবি নাজিমু্দ্দিন শ্যামলের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে কবিকে শ্রদ্ধা জানান কবি স্বপন দত্ত, হোসাইন কবির, স্বপন সেন, আশীষ সেন, খুরশিদ আনোয়ার, কামরুল হাসান বাদল, সাংবাদিক নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চৌধুরী ফরিদ, গণজাগরণ মঞ্চের শরীফ চৌহান, খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রকৌশলী রূপক চৌধুরী, শিল্পী মিলি চৌধুরী প্রমুখ।

কবিকে শ্রদ্ধা জানায় সাংস্কৃতিক সংগঠন খেলাঘর, উদীচী, বোধন, প্রমা, উচ্চারক, সম্মিলিত আবৃত্তি জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন।

কবি কামরুল হাসান বাদল বলেন, “অরুণ সেনের উচ্চকণ্ঠ সরল উচ্চারণ, মানবিক চিন্তাবোধ আমাদের মাঝে চির জাগ্রত থাকবে। তিনি বেঁচে থাকবেন তার কবিতার মাঝে।”

কবিকে শেষ বিদায় জানাতে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অনেকে। সংস্কৃতিকর্মী রুবেল দাশ প্রিন্স বলেন, “গতকালও তার সাথে আড্ডা হয়েছে। এভাবে আজ চলে যাবেন সেটা মেনে নিতে পারছি না। চেরাগী পাহাড়ে আর দেখা হবে না মুখে হাসি নিয়ে আড্ডারত কবি অরুণ সেনের সাথে।”

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কবির মরদেহ বোয়ালখালীর গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়েছে। সেখানেই তার শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।

অরুণ সেনের জন্ম চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার অহ্ল্লা ধলঘাট এলাকায়।তার মোট ১১টি কবিতা ও ছড়ার বই বেরিয়েছে।


(বিএম/এস/ মার্চ২৬, ২০১৬ )