মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর রাজৈর উপজেলার বদরপাশা ইউনিয়নের গোপালগঞ্জ গ্রামে রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ শ্বশুরবাড়ি থেকে টুটুল খালাসীর (২৫) লাশ উদ্ধার করেছে।

স্ত্রী ও তার প্রেমিকের ছুরিকাঘাতে টুটুল খালাসী খুন হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় রাতেই পুলিশ নিহতের স্ত্রী রিমা আক্তারকে (২০) আটক করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ, পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাজৈর উপজেলার দুর্গাবদ্দি গ্রামের দবির খালাসীর ছেলে টুটুল খালাসী গত একমাস আগে পাশের গোপালগঞ্জ গ্রামের হায়দার বেপারীর মেয়ে রিমা আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এরই সূত্রে ধরে বিয়ে হয়।

কিন্তু এ বিয়ের আগে রিমার একই গ্রামের এনায়েত হোসেন নামের এক প্রেমিক আছে বলে তার স্বামী অভিযোগ তোলো। এনিয়ে বেশ কয়দিন ধরে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলে আসছিল।

শনিবার টুটুল তার স্ত্রী রিমাকে নিয়ে শশুর বাড়ী গোপালগঞ্জ গ্রামে বেড়াতে আসে। রবিবার রিমার পুরানো প্রেমিক এনায়েতের সাথে টুটুলের বাকবিতন্ডা হয়।

রবিবার সন্ধ্যায় টুটুল শশুরবাড়ীর ঘরের মধ্যে ছুরিকাঘাতে আহত হলে তার চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসে। এসময় টুটুলকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. মো. হানিফ মিয়া জানায়, টুটুলের ছুরিকাঘাতে পেটের নাড়ী ভূড়ি বের হয়ে যাওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আমরা দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে পৌছানোর পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।

নিহতের চাচাতো ভাই মস্তফা খালাশী ও মামী চায়না বেগম জানায়, স্ত্রী রিমা ও তার পুরানো প্রেমিক এনায়েত মিলে টুটুলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে।

আটক স্ত্রী রিমা জানায়, এনায়েত রবিবার বিকেলে আমার স্বামী টুটুলকে ঘুরতে নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা বলেছে। এ কথা সইতে না পেরে আমার সামনে সে নিজেই নিজের পেটে ছুরি মেরে আত্মহত্যা করেছে।

লাশ উদ্ধারকারী কর্মকর্তা এসআই কাজী রমজানুল হক জানান, অন্য কেউ ছুরিকাঘাত করেছে, নাকি নিজেই নিজেকে ছুরিকাঘাত করে আত্মহত্যা করেছে। এনিয়ে বির্তক থাকায় লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে নিহতের স্ত্রী রিমাকে আটক করে ৫৪ ধারায় জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

মাদারীপুরের এএসপি মনিরুজ্জামান ফকির বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের পরে বিস্তারিত জানা যাবে।


(এএসএ/এএস/মার্চ ২৮, ২০১৬)