নাগরপুর (টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি :টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা থেমে নেই। প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র-নিয়ে মহড়া দেওয়া হচ্ছে এলাকায়। উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নে ১৫জন, মোকনা ৯জন, দপ্তিয়র ১৩জন, ভাদ্রা ৫জন, ধুবড়িয়া ৪জন, বেকড়া ৫জন, গয়হাটা ১৫জন, নাগরপুর ২জন, মামুদনগর ১৫জনসহ প্রায় শতাধিক আহত হয়েছে।

আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নির্বাচনী সহিংসতায় নাগরপুর থানায় পাল্টাপাল্টি ভাবে প্রায় ২৭টি মামলা হয়েছে। থানা ও বিভিন্ন এলাকা সূত্রে জানা যায়, ইউপি নির্বাচনের আগের দিন থেকে নির্বাচন পরবর্তী আজ পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউপিতে পরাজিত ও বিজয়ী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সকল ঘটনায় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে প্রায় শতাধিক মানুষ আহত হয়ে হাসপাতালে পড়ে আছে।

ইউপি নির্বাচনের আগের দিন দপ্তিয়র ইউনিয়নে নির্বাচনকে কেন্দ্র আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মি বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর কর্মিদের মধ্যে পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভাই মর্তুজ আলী, কর্মি নজরুলসহ ১৩জন আহত হয়। নির্বাচনী পরবর্তী সময়ে একাধিক ইউপিতে পরাজিত ও বিজয়ী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার বিকেলে উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক ও বিজয়ী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কর্মিদের মধ্যে সংঘর্ষে বিজয়ী প্রার্থীর ১৫জন সমর্থক আহত হয়।

উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নে সদ্যযোগদানকারী মনোনয়ন বঞ্চিত আওয়ামী লীগ নেতা আজহারুল ইসলাম মন্টু নির্বাচনে পরাজিত হওয়ায় তার সমর্থকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত বিজয়ী প্রার্থী মোঃ দাউদুল ইসলাম মিয়ার সমর্থকদের উপর তেবাড়িয়া বাজারের পার্শ্বে রাস্তায় হামলা করে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে সলিমাবাদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন-সম্পাদক, আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ রায়হান খান (৩২) তার চাচাতো ভাই আরফীন খানকে সহ ১৫জনকে পিটিয়ে আহত করে। আহতদের মধ্যে গুরুত্বর অবস্থায় দুইজনকে নাগরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

নাগরপুর থানা ওসি তদন্ত সোহরাব হোসেন বলেন, উপজেলার ২৩ শে মার্চে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচন কেন্দ্রীক সহিংসতার ঘটনায় প্রায় ২৭টি মামলা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।






(আরকেএস/এস/মার্চ২৯,২০১৬)