প্রবীর সিকদার : ধর্মনিরপেক্ষতা মানে সাঈদি রাজাকারের ব্যাখ্যা 'ধর্মহীনতা' নয়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র মানেই ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। ধর্মনিরপেক্ষ তথা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কোনও ব্যক্তিকে ধর্মনিরপেক্ষ হবার প্রয়োজন নেই।

ব্যক্তি স্বাধীনভাবে তার ধর্মবিশ্বাস লালন ও পালন করবে এবং অন্য ধর্মবিশ্বাসের প্রতি সহিষ্ণু থাকবে; আন্তঃ ধর্মীয় চমৎকার সহাবস্থান নিশ্চিত করবে। কিন্তু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে অবশ্যই ধর্মনিরপেক্ষ হতে হবে।

আর তার মানেই হলো কোনও ধর্মের প্রতি রাষ্ট্রের কোনও ধরণের পক্ষপাতিত্ব থাকা চলবে না। তার অর্থ ধর্মহীনতা নয়। বরং রাষ্ট্র ধর্মনিরপেক্ষ হলেই কেবল সকল ধর্মের সমান মর্যাদা সুপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং নাগরিকদের মধ্যে ধর্মকেন্দ্রিক ক্ষতিকর বিভাজনের পথ বন্ধ হয়।

একটি দেশ যখন গণতান্ত্রিক হয়, তখন দেশটির ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র অনিবার্য হয়ে পড়ে। কেননা ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র ছাড়া গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র অসম্ভব। গণতন্ত্রের সংজ্ঞার মধ্যেও সেটি স্পষ্ট । বাংলাদেশ যেহেতু নিজেকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবেই দাবি করে, সেক্ষেত্রে দেশটিকে অবশ্যই ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র ধারণ করতেই হবে। সোনা দিয়ে যেমন পাথর বাটি তৈরি করা যায় না, তেমনি ধর্মনিরপেক্ষতা ছাড়া গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হয় না এবং হয় না।

(অ/মার্চ ২৯, ২০১৬)