ঈশ্বরদী (পাবনা)প্রতিনিধি :২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ঈশ্বরদী উপজেলা শাখা কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করায় ঈশ্বরদীর বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হযেছে।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে সরকারি ও বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন বাধ্যতামূলক। এব্যাপারে প্রতিবারের মতো এবারেও উপজেলা পরিষদে উদযাপন কমিটির প্রস্তুতি মূলক সভায় বিস্তারিত আলোচনাও হয়। তাছাড়া সঠিক মাপ ও পতাকার রং এর বিষয়সহ পতাকা উত্তোলনের জন্য পরিষদের পক্ষ হতে মাইকিং করে প্রচারণাও করা হয়।

সূত্র জানায়, উপজেলার প্রস্তুতি কমিটির সভায় শিক্ষকদের নেতাদের কেউ না কেউ সবসময় উপস্থিত থাকে। তাসত্বেও জাতি গঠনের কারিগর শিক্ষকদের অফিসে এবারে কেন পতাকা উত্তোলন করা হলো না এই নিয়ে ঈশ্বরদীর সচেতন মহলে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।

ঈশ্বরদী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার জনাব আব্দুর রাজ্জাক পতাকা উত্তোলন না করায় ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, অবশ্যই এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এব্যাপারে পূর্ব টেংরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন বিশ্বাস তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই ঘটনা অশোভনীয় ও নিন্দনীয়। সরকারি নির্দেশনা লংঘনের পাশাপাশি ত্রিশ লাখ শহীদের প্রতি অবমাননা করা হয়েছে।

ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাপ্তাহিক জনদাবীর সম্পাদক আলাউদ্দিন বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসে পতাকা উত্তোলন শুধু বাধ্যতামূলকই নয়। এটা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার একটি জায়গা। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি একটি আদর্শিক সংগঠন। আদর্শবাদী শিক্ষকদের চেতনা অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সবসময় কাজ করা উচিত বলে আমি বিশ্বাস করি।

এঘটনায় মুক্তিযোদ্ধা ও চেতনায় ঈশ্বরদী পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ফজলুর রহমান ফান্টু ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘এটি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের পর বিজয়ীদের মধ্যে অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে না বলে বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা চলছিল।

তাই তারা জাতীয় পতাকা না তুলে আজ জাতীয় পতাকার প্রতি অবমাননা করার ধৃষ্ঠতা দেখিয়েছে। সাহিত্য-সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান কামাল বলেন, এটি নি:সন্দেহে নিন্দনীয়। শিক্ষার্থীরা যাদের কাছে শিখবে তাদের দ্বারা সংঘঠিত এই ঘটনা লজ্জাকর।


(এসকেকে/এস/মার্চ৩০,২০১৬)