প্রবীর সিকদার : ফরিদপুরে খুনের উদ্দেশ্যে নৃশংস হামলার শিকার হয়েছেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি ও মুক্তিযুদ্ধের সাব সেক্টর কমান্ডার, প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা নূর মোহাম্মদ ক্যাপ্টেন বাবুল, ফরিদপুর জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলক সেন, ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট বদিউজ্জামান বাবুল প্রমুখ।

এই সব ঘটনার বৈশিষ্ট্য একই ধরণের। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর ধরণ, পুলিশের তৎপরতা, প্রশাসনিক ভূমিকা, রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া ও গণমানুষের আতংক- সবগুলো ঘটনা ভেদেই ছিল এক এবং অভিন্ন। আর একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, অত্যন্ত দুঃখজনক এই সব ঘটনার প্রতিটি ক্ষেত্রেই সামাজিক-রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীদের কেউ কেউ ঘটনার শিকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গদের কাউকেই একপলকের জন্যও হাসপাতালে দেখতে যাননি; এমনকি ন্যূনতম সৌজন্যতা দেখাতে তাদের কোনও খোঁজ খবর নেননি।

অথচ সামাজিক-রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী এই সব ব্যক্তিবর্গের দায়িত্ব ছিল হামলার শিকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের পাশে দাঁড়ানো এবং হামলায় জড়িত দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিতে ভূমিকা রাখা। তারা তা না করে বরাবর নির্লিপ্ত থেকেছেন। সেই সঙ্গে সকল ঘটনায় চরম নির্লিপ্ততা দেখিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ। সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের ভয়াবহ রকমের এই নির্লিপ্ততা কোনও রহস্যময় যোগসূত্রের ফসল কিনা কে জানে! সাধারণ মানুষের চোখ ও মনকে ফাঁকি দিতে পারেনি চূড়ান্ত রহস্যের সেই নির্লিপ্ততা।

তবে কি ফরিদপুরে শর্ষেতেই ভূত? এই প্রশ্ন করবার বিন্দুমাত্র সাহস নেই ফরিদপুরের কারো! আর উত্তর দেওয়ার মানুষগুলো বুঝি দায়মুক্তির বর্ম গায়ে জড়িয়ে সেজেছেন দানব!

(পিএস/অ/এপ্রিল ০১, ২০১৬)